Saturday, July 27, 2024

Humayun Kabir: স্বজন পোষন ও দুর্নীতি! মমতার কোপে হুমায়ুন, পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরায় খুশি তৃণমূলের একাংশ

- Advertisement -spot_imgspot_img

নিজস্ব সংবাদদাতা: প্রথম বিধায়ক হয়েই মন্ত্রী হওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন প্রাক্তন আইপিএস হুমায়ুন কবীর। কারিগরি শিক্ষা দপ্তরের স্বাধীন মন্ত্রীত্ব দেওয়া হয়েছিল তাঁকে কিন্তু ধরে রাখতে পারলেননা সেই বিরল সম্মান। মাত্র ১৫ মাসের মাথায় সরে যেতে হল তাঁকে। বরং বলা ভালো অপসারিত হলেন তিনি। গোটা ঘটনায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরায়। তৃনমূলের একাংশের মধ্যে খুশির হওয়া নজর করা গেছে। বুধবারই নিজের মন্ত্রীসভার রদবদল করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর নতুন মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়েছেন সৌমেন মহাপাত্র, রত্না দে নাগ, পরেশ অধিকারী প্রমূখরা। সেই তালিকায় নাম ঢুকে গেছে ওই প্রাক্তন আইপিএস আধিকারিকের।

আরো খবর আপডেট মোবাইলে পেতে ক্লিক করুন এখানে

শুরু থেকেই ডেবরা বিধানসভা এলাকায় নানা বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন তিনি। স্বজন পোষন ও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। প্রথম বড় বিতর্ক তৈরি হয় ডেবরা টোলপ্লাজায় কর্মী নিয়োগকে কেন্দ্র করে। বর্তমান ডেবরা ব্লকের তৃনমূল ব্লক কংগ্রেস সভাপতি রাধাকান্ত মাইতির ছেলে দীর্ঘদিন ওখানে কর্মী নিয়োগের ঠিকাদারি করে আসছিলেন কিন্তু হুমায়ুন কবীর নিজের মন্ত্রীত্বের প্রভাব খাটিয়ে চালু চুক্তি বাতিল করে নিজের স্ত্রীর প্রভাবে থাকা কোম্পানিকে ওই ঠিকাদারিতে নিযুক্ত করেছেন বলে অভিযোগ ওঠে। রাধাকান্ত মাইতি সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অভিযোগ জানান।

অন্যদিকে ডেবরা এলাকা থেকেই আরও একটি মারাত্মক অভিযোগ করেন এক তৃনমূল কর্মীর পরিবার। জনজাতি সম্প্রদায় ভুক্ত ওই তরুণী সরাসরি এফআইআর দায়ের করেন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে। অভিযোগ তাঁকে চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা নিয়েছেন মন্ত্রী কিন্তু তারপরও চাকরিরর পরিবর্তে নিজের বাড়িতে তাঁকে পরিচারিকার কাজ করতে বাধ্য করেন বলে সম্প্রতি হুমায়ুন এবং তাঁর স্ত্রী। এমনকি জনজাতি হওয়ার তাঁকে কটূক্তিও করা হয় বলে অভিযোগ করেন তিনি।

যদিও বিষয়টি নিয়ে সরাসরি মন্তব্য করতে নারাজ সবাই। ডেবরার প্রবীণ নেতা ও পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ অলোক আচার্য্য বলেন, “১৯৯৬ সালের পর প্রথম মন্ত্রিত্ব পেয়েছিল ডেবরা। আমাদের দুর্ভাগ্য সেটা ধরে রাখা গেলনা। ওনাকে কেন সরানো হয়েছে আমি জানিনা তবে নেত্রী যেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেখানে কারন তো কিছু একটা থাকবেই। উনি যা ভালো বুঝেছেন করেছেন।’ ঠিক একই ভাবে সাবধানী মন্তব্য করতে গিয়ে রাধকান্ত মাইতি বলেন, ‘ওপর তলার নেতৃত্ব যা করেন খোঁজ খবর নিয়েই করেন। এব্যাপারে আমার কিছুই বলার নেই।’ এক তৃনমূল নেতা  অবশ্য বলেছেন, “খুব খুশি হয়েছি আমরা মুখ্যমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তে। সরাকে ধরা জ্ঞান করছিলেন মন্ত্রী হয়ে। মানুষকে মানুষ বলে গ্রাহ‍্য করতেননা। বিশেষ করে ওই আদিবাসী কন্যার সঙ্গে যা করেছিলেন তা মেনে নেওয়া যায়না।”

- Advertisement -
Latest news
Related news