![](http://kgpbangla.in/wp-content/uploads/2021/10/Screenshot_20211031-173522_Public.jpg)
নিজস্ব সংবাদদাতা: বড়সড় সাফল্য পেল খড়গপুর পুলিশ। শনিবার রাতে অভিযান চালিয়ে ৫ জন ডাকাতকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। শনিবার রাতে এদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানা গিয়েছে। এদের প্রত্যেকেরই বাড়ি খড়গপুর শহর ও তার লাগোয়া এলাকায় বলে পুলিশ জানিয়েছে। ধৃতরা এলাকার কুখ্যাত অপরাধী এবং এদের বিরুদ্ধে আগেও বেশকিছু অপরাধের মামলা থাকতে পারে বলে পুলিশের অনুমান। রবিবার আদালতে হাজির করার পর এদের নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানিয়েছে পুলিশ।
জানা গেছে শনিবার রাতে খড়গপুর শিল্পাঞ্চলের সাহাচক পার্শ্ববর্তী বন্ধ হয়ে থাকা রামস্বরূপ ইস্পাত কারখানার যন্ত্রাংশ চুরির জন্য কারখানার ভেতরে হানা দেয় প্রায় ১ডজনের একটি দল।
![](http://kgpbangla.in/wp-content/uploads/2021/10/Screenshot_20211031-183342_Gallery.jpg)
ওই সময় প্রহরারত দুই সশস্ত্র বন্ধুকধারী তাদের বাধা দিতে গেলে তাদের ঘিরে ফেলে ডাকাতরা। তারপর ২জনকে ব্যাপক মারধর করার পর কারখানার কিছু যন্ত্রাংশ লুট করার পাশাপাশি তাদের বন্দুক ২টিও নিয়ে পালায় ডাকাত দলটি। পুলিশ জানিয়েছে রাত ১০টা এই ঘটনাটি ঘটে।
খবর যায় খড়গপুর লোকাল থানার অন্তর্গত সাদাতপুর পুলিশ ফাঁড়িতে। সাথে সাথে সক্রিয় হয়ে ওঠে সাদাতপুর ফাঁড়ি সহ সমগ্র খড়গপুর লোকাল থানার পুলিশ। সতর্ক করা হয় জাতীয়সড়ক সহ বিভিন্ন রাস্তায় থাকা নাকা পয়েন্টগুলিকে। পাশাপাশি বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে রবিবার ভোর ৩ টে নাগাদ একটি ভ্যান রিকশায় কিছু মালপত্র নিয়ে যাওয়া ব্যক্তিকে পুলিশ সন্দেহের বশে চেজ করলে পালানোর চেষ্টা করে তারা। পুলিশ তাদের তাড়া করে ধরে ফেলে। সেই ভ্যান রিকশায় কারখানার কিছু যন্ত্রাংশ পাওয়া যায়।
এরপর তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে লুট করা দুটি দোনলা বন্দুক উদ্ধার করে পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয় মোট ৫ ডাকাত। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে এই ধৃত ৫ জন হল খড়গপুর রাখাজঙ্গলের জমিদার পুকুর এলাকার দুই ভাই সৌরভ দাস ও সুব্রত দাস। অন্য ৩ জন নিরঞ্জনবাড় এলাকার মানস নায়েক,লব নায়েক ও দেবা পাত্র। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। তারাও আশেপাশের এলাকার বলেই প্রাথমিকভাবে অনুমান করছে পুলিশ। ধৃতদের বিরুদ্ধে ডাকাতি, লুট, ও অস্ত্র আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। এরা কালোরঙের পোশাক ব্যবহার করেছিল।
ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে রামস্বরূপ কারখানার এক প্রহরী সুদর্শন সামন্ত জানান, কারখানার চারপাশে মোট চারজন বন্দুকধারি থাকে। বাকি কয়েকজন লাঠি ধারি। রাত দশটা নাগাদ আমার পোষ্টে হামলা চালায় বেশ কয়েকজন ডাকাত। আমি টাওয়ার থেকে ভয় দেখানোর জন্য একটা উড়ো ফায়ার করি। কিন্তু তারপর ওরা চারদিক থেকে আমাকে লক্ষ্য করে পাথর বৃষ্টি শুরু করে। অতজন মানুষকে আমার পক্ষে একা মারা সম্ভব নয় বুঝতে পেরে আমি কোনওরকমে ওখান থেকে সরে পড়ার চেষ্টা করি কিন্তু আন্ডারগ্রাউন্ডে থাকা একটি জলাশয়ে আটকে যাই আমি। এরপর ওরা আমাকে মারধর করে আমার বন্দুক, টর্চ ইত্যাদি ছাড়িয়ে নেয়। এই ভাবে আরও কয়েকজন প্রহরীকে কাবু করে ফেলেছিল ওরা। ধৃতদের বিরুদ্ধে ডাকাতি, লুট, ও অস্ত্র আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে