নিজস্ব সংবাদদাতা: আপনার বাড়ির অসুস্থ ব্যাক্তিটির জন্য একটি হসপিটাল বেড প্রয়োজন। দাম খুব কম করে হলেও 15 হাজার, একটু ভালো নিতে গেলে 22 হাজার। কোথায় পাবেন অত টাকা? রুগী ভালো হয়ে কী করবেন ওই বেড দিয়ে? কিংবা অসুস্থ ব্যাক্তিটির জন্য হুইচেয়ার, ওয়াকার, চেয়ার কমোড, অক্সিজেন সিলিন্ডার ইত্যাদি যা যা প্রয়োজন এবার দেবে যতীন মিত্র স্মৃতি রক্ষা কমিটি। আপনার প্রয়োজন শেষ হলে আবার তা ফেরত নিয়ে নেবে তাঁরা। না, এরজন্য কোনও ভাড়া নেবেনা তাঁরা। যদি আপনার ইচ্ছা হয় কমিটির তহবিলে কিছু দান করতে পারেন। না দান করলেও কোনও বাধ্যবাধকতা নেই। আগে এলে আগে পাবেন এই ভিত্তিতে যার যখন এই চিকিৎসা সরঞ্জাম পাবেন। কমিটির তরফে জানানো হয়েছে কাউকে ফেরানো হবেনা এই নীতি নিয়েই কাজ করা হবে।
মঙ্গলবার খড়গপু্র শহরের খরিদায় এই উদ্যোগের শুভ সূচনা হয়ে গেল। যতীন মিত্র স্মৃতি রক্ষা কমিটির উদ্যোগে আজ খরিদা জৈন ধর্মশালায় এই অনুষ্ঠানে এই উদ্যোগকে খড়গপুরের মধ্যে প্রথম উদ্যোগ বলে দাবি করা হয়েছে। কমিটির অন্যতম উদ্যোক্তা অনিল দাস ওরফে ভীম বলেছেন, ” অনেক মানুষকেই চিকিৎসার কারণে এই ধরনের ব্যয় বহুল সরঞ্জাম ব্যবহার করতে হয় বাড়িতে কিন্তু হয়ত তাঁর কেনার ক্ষমতা নেই। তাঁদের জন্য আমরা এই উদ্যোগ নিয়েছি। তাছাড়া কেনার ক্ষমতা থাকলেও যদি কিছুদিন পর সেটার প্রয়োজনীয়তা না থাকে তবে অনেক টাকা নষ্ট হয়। তাই সবার জন্য এই পরিষেবা দেওয়া হবে। শুধু খড়গপু্র শহর নয় শহরের বাইরেও মানুষ এই পরিষেবা নিতে পারেন।” কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে ক্ষমতা আছে যাঁদের তাঁরা শুধু পরিবহনের খরচ টুকু দেবেন। যদি না থাকে কমিটিই পৌঁছে দেবে এবং নিয়ে আসবে।
উল্লেখ্য করোনার সময় থেকেই খড়গপুর শহরে বিভিন্ন ধরনের পরিষেবা চালু করে শহরবাসীর প্রশংসা কুড়িয়েছে যতীন মিত্র স্মৃতি রক্ষা কমিটি। করোনা পরবর্তীকালে সেই ধারা অব্যাহত রাখতে এই নতুন ভাবনা বলে কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। এদিন এই অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে এক ব্যাক্তিকে ট্রাই সাইকেল প্রদান করা হয়। এদিন সংগঠনের তৃতীয় বর্ষ রক্তদান শিবির অনুষ্ঠিত হয়। ৩ জন মহিলা সহ মোট ৩১জন রক্তদান করেন। কমিটির এই উদ্যোগের ভুয়সী প্রশংসা করেন অনুষ্ঠানের উদ্বোধক মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজের আ্যসিসট্যান্ট সুপার সুমনদেব চক্রবর্তী। উপস্থিত ছিলেন খড়গপুর মহকুমা হাসপাতালের আ্যসিসট্যান্ট সুপার মধুবনী চক্রবর্তী পোদ্দার, ডা: অভিষেক দাশ সহ অন্যরা।