নিজস্ব সংবাদদাতা: এ একেবারেই নজির বিহীন ঘটনা। অন্ততঃ গত ১দশকে এমন ঠান্ডা পড়েছে কী না স্মরণ করতে পারছেননা কেউ। সোমবার সকাল ৬টায় খড়গপুর মেদিনীপুর শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ধরা পড়েছে 5.90 ডিগ্রি সেলসিয়াস। বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া উদ্যান জানিয়েছে গত ২৪ ঘন্টায় ৫ডিগ্রি কমে গেছে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা! রবিবার দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল 10.75ডিগ্রি যা কিনা সোমবার দাঁড়ালো 5.90 ডিগ্রিতে! তাপমাত্রার এই অস্বাভাবিক পতনও রেকর্ড বলেই মনে করা হচ্ছে। আর এরই পরিণতিতে সোমবার ভোর থেকেই প্রচন্ড হাড় কাঁপুনি ঠান্ডা অনুভূত হয়ে চলেছে দুই শহরে।
সোমবার আরও রেকর্ড হয়েছে দিনের গড় তাপমাত্রার পতনেও। রবিবারের চেয়ে ৪ ডিগ্রি নীচে নেমেছে দিনের গড় তাপমাত্রা। রবিবার যা ছিল 16.37 ডিগ্রি সেলসিয়াস সোমবার তা দাঁড়িয়েছে 12.92 ডিগ্রি সেলসিয়াসে। অর্থাৎ দিনভর ঠান্ডায় জমে গেছে খড়গপুর মেদিনীপুর। আজ সারাদিনই হু হু করে বয়ে গেছে উত্তুরে বাতাস। হিমেল সেই হওয়ায় ভর করে আরও কঠিন হয়েছে ঠান্ডার মেজাজ। ঠান্ডায় জমে জমাট শুধু খড়গপুর বা মেদিনীপুরই নয়, ঠান্ডা সমগ্র পশ্চিম মেদিনীপুর ও জঙ্গলমহলেই।
বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকরা জানিয়েছেন এই ওয়েদার স্টেশনটি রয়েছে তাঁদের ক্যাম্পাসে অর্থাৎ মেদিনীপুর শহরের উপকন্ঠে। তাই সেখানে মাপা তাপমাত্রার একটু রকম ফের হতেই পারে জেলার অন্যান্য জায়গায় তবে নিশ্চিতভাবেই খড়গপুর মেদিনীপুরের সামান্য দূরত্বে তাপমাত্রার খুব বেশি রকমফের হওয়ার কথা নয়। তাছাড়া এটা ঘটনা যে আজ অর্থাৎ সোমবারই এই মরসুমের সবচেয়ে বেশি ঠান্ডা অনুভূত হয়েছে দুই শহরে।
খড়গপুর ইন্দার অধিবাসী 75 বছরের যামিনী হালদার, অবসর প্রাপ্ত রেল কর্মচারী জানিয়েছেন, গত ৫০বছর ধরে খড়গপুর শহরের বাসিন্দা আমি। এমন ঠান্ডা এর আগে অনুভব হয়েছে বলে মনে করতে পারছিনা। আজ থেকে বছর দশেক বা তারও আগে কলাইকুন্ডা এয়ারবেসের দেওয়া একটা তথ্য মারফৎ জানতে পেরেছিলাম খড়গপুরে সেবার ৬ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে তাপমাত্রার পারদ নেমেছিল।