নিজস্ব সংবাদদাতা: পিতার ১ম মৃত্যুবার্ষিকীতে রেড ভলান্টিয়ারের হাতে ৫০হাজার টাকা তুলে দিলেন এক খড়গপুর কন্যা। শনিবার একটি অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে খড়গপুর শহরের হিজলী সমবায় সমিতি এলাকাধীন নিজের বাসভবনে এই মহতিদানের প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হয়েছে বলে জানা গেছে। অনুষ্ঠানে প্রয়াত প্রাক্তন রেল কর্মচারী রাখহরি বোসের স্ত্রী ছায়া বোস এবং কন্যা সূচন্দ্রা বোস ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জামাতা প্রদীপ দাস এবং অন্যান্যরা।
সূচন্দ্রা জানিয়েছেন, ‘এই অতিমারি সময়ে নিজেদের জীবন বাজি রেখে যেভাবে রেড ভলান্টিয়ার সদস্যরা কাজ করে চলেছেন তাতে আমরা অভিভূত। আমার বাবা আজীবন মানুষের দুঃখ দুর্দশার প্রতি সমব্যথী ছিলেন। ছোট বেলা থেকেই তাঁর কাছে শিখেছি অসহায় মানুষের একমাত্র অবলম্বন মানুষই। সেই কাজটিই করে চলেছে রেড ভলান্টিয়াররা। আমার খুব ভালো লাগছে সেই কাজে খুব সামান্য হলেও আমরা পরিবারগত ভাবে কিছুটা যুক্ত হতে পারলাম।”
পরিবার সূত্রে জানানো হয়েছে মেদিনীপুরে জন্ম ও বেড়ে ওঠা রাখহরি বোস একসময় কর্মসূত্রেই খড়গপুরে চলে আসেন। ইন্দা এলাকায় থাকতেন তিনি। রেলের কর্মচারীদের সুযোগ সুবিধার লড়াইয়ের পাশাপাশি নিজের এলাকায় সাধারণ মানুষের সুখদুঃখের ভাগীদার হতেন নীরবে। অবসরের পর হিজলী সমবায় সমিতি এলাকায় চলে আসেন মেয়ে-জামাতার কাছে। গতবছর ২১শে আগষ্ট ৮২ বছরে প্রয়াত হন তিনি। শনিবার ছিল সেই প্রয়ানের প্রথমবর্ষ। সেই উপলক্ষ্যেই রেড ভলান্টিয়ার খড়গপুর শহর দক্ষিণ শাখার হাতে এই টাকা তুলে দেওয়া হয়।
রেড ভলান্টিয়ারের সংশ্লিষ্ট শাখার আহ্বায়ক অমিতাভ দাস জানিয়েছেন, ‘ অতিমারির বিরুদ্ধে লড়াই এখনও শেষ হয়নি বরং শোনা যাচ্ছে করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের মুখে আমরা। এ লড়াই হয়ত আরও কঠিন, আরও জোরালো হবে। আমাদের স্বেচ্ছাসেবকরা তো আছেনই কিন্তু আপনাদেরও সবার সাহায্য চাই। আমি শুনেছি প্রয়াত রাখহরি বাবু একজন প্রচার বিমুখ এমনই অন্তর্মুখী জনদরদি মানুষ ছিলেন যাঁর কর্মকান্ড সচরাচর প্রকাশ পেতনা। তাঁকে আমরা শ্রদ্ধাবনত: চিত্তে স্মরণ করছি। কৃতজ্ঞতা পোষন করছি তাঁর পরিবারের সদস্যদের প্রতি যাঁরা তাদের প্রয়াত পরিবার সদস্যের প্রতি যথাযথ সম্মান দেখালেন তাঁরই শেখানো পথে। এটা আমাদের কাছেও শিক্ষার।
করোনা বিধি মেনেই সীমিত কালের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রেড ভলান্টিয়ার টিমের ডি কুমার রাও, দূর্মদ দেবনাথ,শুভ ঘোড়াই। এছাড়াও দাতা পরিবারের পারিবারিক সুহৃদ দিলীপ দেব, হরেকৃষ্ণ দেবনাথ প্রমুখ।