![](http://kgpbangla.in/wp-content/uploads/2021/09/IMG-20210912-WA0012.jpg)
নিজস্ব সংবাদদাতা: ফের আরও একবার নিজেদের দক্ষতা ও বীরত্বের নজির রাখলেন ভারতীয় উপকূল বাহিনীর ( Indian Coast Guard) জওয়ানরা। উত্তাল সমুদ্রের সঙ্গে লড়াই করে ১১জন মৎসজীবীর জীবন বাঁচালেন তাঁরা। শনিবার মাঝরাতে দিঘা থেকে ৭০কিলোমিটার সমুদ্র দূরত্বে ট্রলার বিকল হয়ে মাঝ দরিয়ায় জীবনের প্রতি আশাই ছেড়ে দিয়েছিলেন কাঁথি থেকে রওনা হওয়া ‘মা শীতলা’ ট্রলারের ওই মৎসজীবীরা। ভারতীয় উপকূল রক্ষী বাহিনীর জওয়ানরা উদ্ধার করার পর ফের জীবনে ফিরলেন তাঁরা। ভারতীয় উপকূল রক্ষী বাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে সাগরদ্বীপ থেকে ৩৮ নটিক্যাল মাইল দক্ষিণ পশ্চিম সমুদ্র গর্ভ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ওই ১১জনকে। বর্তমানে সুস্থ রয়েছেন তাঁরা।
মৎস্যদপ্তর সূত্রে জানা গেছে বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপের কারনে আবহাওয়া দপ্তরের বার্তা ছিল শনিবারের মধ্যেই ফিরতে হবে তীরে। সেই মত ফিরছিল মা শীতলা ট্রলারটি। কিন্তু মারাত্মক আবহাওয়া তায় উত্তাল সমুদ্রের কারনে ট্রলারের গতি কমে যাওয়ায় অত্যন্ত ধিরে ধিরে আসছিল ট্রলারটি। এরই মধ্যে হঠাৎ বিপত্তি মাঝ সমুদ্রে। দুরন্ত সমুদ্রের সাথে লড়াই করার সময় প্রপলার ভেঙে যায় ট্রলারটির। বিকল হয়ে যাওয়া ট্রলার থেকেই তাঁরা SOS পাঠান মৎসদপ্তরে। রবিবার সকাল ৮.৪৫ নাগাদ ওই SOS পাওয়ার পরই মৎস্য দপ্তর খবর পাঠায় ভারতীয় উপকূল রক্ষী বাহিনীর (Indian Coast Guard) হলদিয়া সদর দপ্তরে। এরপরই মৎস্যজীবীদের উদ্ধারের জন্য হলদিয়া কোস্ট গার্ডকে খবর দেওয়া হয়।
উপকূল রক্ষী বাহিনীর এক আধিকারিক জানিয়েছেন, “খারাপ আবহাওয়ার কারনে ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে আমাদের আগাম অনুরোধ জানানো হয় সমুদ্রে নজরদারি চালানোর জন্য। দুই সরকারের তরফেই মনে করা হয় যে খুব গভীর সমুদ্রে থাকা ট্রলারগুলি হয়ত উত্তাল সমুদ্রের কারনে বিপদে পড়তে পারে। সেই কারণেই আমাদের ডর্নিয়ার এয়ারক্র্যাফট আকাশ পথ থেকেই সমুদ্রে নজরদারি করছিল। অন্যদিকে সমুদ্রে টহল দিচ্ছিল ‘আনমোল’ (Anmol)জাহাজটি। সকাল ৮.৪৫ নাগাদ পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাঁথির সহকারি মৎস অধিকর্তা (সমুদ্র) সুরজিৎ বাগ আমাদের জানান ওই ট্রলার বিকল হওয়া এবং ১১জন মৎসজীবীর বিপদের কথা।”
ওই আধিকারিক বলেন, ” আমাদের একটি কাজের একটি অন্যতম অঙ্গ হল সমুদ্র গর্ভে বিপদগ্রস্তদের ‘সন্ধান ও উদ্ধার’ (Search and Resque ). যে কারনে আমাদের একটি প্রকল্প বা শপথের নামই হল ‘আমরা উদ্ধারকারী’ বা ব্যয়ম রক্ষম ( VAYAM RAKSHAMA- WE PROTECT). যে কারনে আমাদের বিশেষ উদ্ধারকারী জাহাজটি ‘অনমোল’ (Anmol) মোতায়েন ছিল। ডর্নিয়ার এয়ারক্র্যাফট বিকল হয়ে যাওয়া এমভি মা শীতলা কে দেখতে পেয়েই খবর পাঠায় আমাদের উদ্ধারকারী অনমোলকে। আনমোলের জওয়ানরাই উদ্ধার করেন ওই ১১জনকে।”
ভারতীয় উপকূল রক্ষী বাহিনীর হলদিয়া সদর দপ্তরের কমান্ডেন্ট দীপক সিং জানিয়েছেন, ‘রবিবার বিকাল সাড়ে ৫টার সময় উপকূল রক্ষীবাহিনীর হলদিয়া জেটিতে ওই ১১ জন মৎসজীবীকে আনার পর তাঁদের প্রশাসনের দায়িত্বে অপর্ন করা হয়েছে।”