নিজস্ব সংবাদদাতা: ফের কলঙ্ক খড়গপুর শহরে। কুকুরের পায়ে বাজি বেঁধে উড়িয়ে দেওয়ার পর এবার এক মুক ও বধির নাবালিকার হাত পা বেঁধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল। ১৫বছর বয়সী ওই কন্যাকে একটি পাম্প হাউসে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ভাইফোঁটার দিন, শনিবার। পুলিশ এই ঘটনায় এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে।
অভিযোগ পাওয়ার পরই পুলিশের তরফে ওই বালিকাকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য প্রেমবাজারে অবস্থিত হিজলী গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। জানা গেছে শনিবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা অবধি কয়েক দফায় এই ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটেছে খড়গপুর শহরের খরিদা এলাকার বড়বাত্তি এলাকায়। ধৃত যুবকের নাম এ অরবিন্দ। সে স্থানীয় এলাকারই বাসিন্দা বলেই জানা গিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে এখনও পুলিশের বক্তব্য মেলেনি।
স্থানীয় সূত্রে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে শহরের ২০নম্বর ওয়ার্ডের নিউ সেটেলমেন্ট এলাকায় একটি পাম্প হাউসে কোনও কিছুর প্রলোভন বা কোনও ভাবে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয় মেয়েটিকে। দুপুর বেলায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তাকে। তারপর মেয়েটিকে ধর্ষণ করে হাত-পা বেঁধে ফেলে রাখা হয়। এরপর মাঝে মধ্যেই ওই যুবক গিয়ে ধর্ষণ করে ওই নাবালিকাকে। আবার হাত-পা বেঁধে ফেলে রাখা হয়। এইভাবে কয়েক দফায় ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। সন্ধ্যার পর মেয়েটিকে তার বাড়ির সামনে ছেড়ে দিতে এসেছিল ওই যুবক। তখনই ওই যুবককে সন্দেহজনক ভাবে আটক করে পাড়ার লোকেরা। মেয়েটির হাবভাবে নিজের অবস্থা বোঝায় এরপরই যুববকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
এদিকে মেয়েটি যে বস্তির বাসিন্দা সেই বড়বাত্তি এলাকার কালী মন্দির সংলগ্ন জায়গায় পূজা উপলক্ষ্যে একটি জলসার অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছিল। দিনের বেলা থেকেই চলছিল তার প্রস্তুতি। এলাকায় দুপুর থেকে মাইক বাজছিল উৎসবের মেজাজে। ফলে দুপুর থেকে নিখোঁজ হয়ে থাকা মেয়েটির খোঁজ পড়েনি তেমন ভাবে। পরিবারের লোকেরা ভেবেছিল সেখানেই রয়েছে মেয়েটি।
কিন্তু বিকাল গড়িয়েও মেয়েটির দেখা না মেলায় উদ্বিগ্ন পরিবার খোঁজ চালাতে শুরু করে। কোথায় কী ভাবে খোঁজ পাওয়া যাবে এই নিয়ে তারা যখন চিন্তিত তখনই দেখা মেলে বিধস্ত মেয়েটির। যদিও এ সমস্ত কিছুই এলাকার বিভিন্ন সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে। যদিও এখনও অবধি এই বিষয়ে পুলিশের কোনও বক্তব্য এখনও পাওয়া যায়নি। পুলিশের তরফে ওই যুবককে জেরা করা হচ্ছে।