Saturday, July 27, 2024

Sabang: তোমার সব কিছু ছিনিয়ে নিয়েছিলাম, আবার সব ফিরিয়ে দিলাম, এবার তুমি সুখে থাকো সোনা! সবংয়ে পরকীয়ার জেরে আত্মহত্যা, সুইসাইড নোট রেখে গেল যুবক

- Advertisement -spot_imgspot_img

শশাঙ্ক প্রধান: সম্পর্কীত এক বৌদিকে নিজের সংসার ফিরিয়ে দিতে আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন এক ২৬বছরের যুবক। দীর্ঘ কয়েক বছরের ‘এক ফুল দো মালি’ সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসা ছাড়া আর অবশ্য কোনও উপায় ছিলনা ওই যুবকের। পশ্চিম মেদিনীপুরের সবং থানার মোহাড় গ্রাম পঞ্চায়েতের পূর্ব মোহাড় গ্রামে এমনই এক মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে বুধবার সন্ধ্যা বেলায়। জানা গেছে ওই গ্রামের মন্ডল পরিবার থেকে উদ্ধার হয় কীটনাশক পান করা এক যুবক জগন্নাথ বর্মনের অসুস্থ দেহ। তড়িঘড়ি তাঁকে সবং গ্রামীন হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত্যু হয় তাঁর।

আরো খবর আপডেট মোবাইলে পেতে ক্লিক করুন এখানে

পুলিশ জানতে পেরেছে সবং থানারই বিষ্ণুপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কুলভেড়ি গ্রামের বাসিন্দা জগন্নাথ। জগন্নাথ মোহাড়ে নিজের পিসি বাড়িতে থেকেই পড়াশুনা করেছে। গ্রাজুয়েট হওয়ার পর কলকাতায় একটি বেসরকারি ফার্মে চাকরি করত। ছুটি পেলে নিজের বাড়ির পাশাপাশি মোহাড়ের পিসি বাড়িতেও যেত। এখানেই এক পিসতুতো দাদার স্ত্রীর সাথে প্রণয়ের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিল যে। পরবর্তীকালে এই সম্পর্কের টানাপোড়েন শুরু হয় আর তার জেরেই এই ঘটনা বলে পুলিশ মনে করছে।

জগন্নাথের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে বুধবার বিকেল ৪টা নাগাদ কুলভেড়ির বাড়ি থেকে সাইকেল নিয়ে বেরিয়েছিল জগন্নাথ। বাড়ির লোকের ধারণা ছিল পাশের একটি আমবাগানে বন্ধুদের সাথে আড্ডা মারতে যাচ্ছে সে। বিকাল ৬টা নাগাদ তার বাড়ির লোক ১০ কিলোমিটার দুরের মোহাড়ের মন্ডল বাড়িতে থেকে খবর পায় কীটনাশক খেয়েছে জগন্নাথ। তাঁর মুখ দিয়ে গেঁজলা উঠতে শুরু করেছে। জগন্নাথের বাড়ির লোকেরা তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলে নিজেরাও হাসপাতালে রওনা দেয়। জগন্নাথকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন মোহাড়ের আত্মীয়রা। চিকিৎসকদের চেষ্টা ব্যর্থ করে কিছুক্ষনের মধ্যেই মৃত্যু হয় জগন্নাথের।

পরে জগন্নাথের পকেট থেকে একটি সুইসাইড নোট পাওয়া যায়। যেখানে নিজের মৃত্যুর জন্য কাউকেই দায়ী করেনি সে। লিখে গেছে, “আমি বলেছিলাম না, আমি তোমার জন্য জীবন দিতে পারি। আমি আমার কথা রাখলাম, তোমার পথের কাঁটা সরল। এবার তুমি সুখী হও। আমি পারলামনা তোমায় ছাড়া বাঁচতে। যদি সারা জীবন একা থাকতে বলতে আমি বয়ে যেতাম গো। তাই তুমি এই অভিনয় করেছিলে জানতামনা। আমি মরে গেলে আর তোমায় অভিনয় করতে হবেনা।……সোনা, তুমি কিন্তু নিজের বাবা মা দাদার দিব্যি খেয়ে বলেছিলে আমায় ছাড়া আর কাউকে ভালোবাসো না।……

জগন্নাথ আরও লিখেছেন, ‘তুমিতো ভালো থাকবে, এতেই আমি খুশি। জানিনা তুমি আমায় মনে রাখবে কিনা। কিন্তু আবার তোমায় বলছি, তোমায় ভালোবাসি। তোমায় ছাড়া বাঁচা অসম্ভব। তাই চলে যাচ্ছি। আমায় ক্ষমা কর।’সবশেষে লেখা, ‘আমি জগন্নাথ, মানসিক যন্ত্রনা সহ্য করতে পারিনি। তাই মৃত্যুর পথ বেছেনিলাম। এরজন্য কেউ দায়ী নয়। তোমার সব কিছু ছিনিয়ে নিয়েছিলাম, আবার সব ফিরিয়ে দিলাম, এবার তুমি সুখে থাকো সোনা!’ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। এখনও অবধি পুলিশে কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি।

- Advertisement -
Latest news
Related news