নিজস্ব সংবাদদাতা: রবিবার বিকাল ৫টা নাগাদ হাওড়ার (Howrah) সাঁকরাইলের কাছে একটি মালগাড়ি লাইনচ্যুত হওয়ায় হাওড়া-খড়গপুর (Howrah-Kharagpur) শাখায় রেল চলাচলে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। বিভিন্ন স্টেশনে দাঁড়িয়ে পড়েছে একাধিক ট্রেন। ফলে খুব দেরিতে চলছে ট্রেনগুলি। বাতিল করা হয়েছে পাঁশকুড়া, মেছেদা, মেদিনীপুরের একাধিক লোকাল। এখনও অবধি ৫ টি পাঁশকুড়া লোকাল, ৩টি মেদিনীপুর লোকাল ও ২টি মেছেদা লোকাল বাতিলের খবর পাওয়া গেছে। রবিবার বিকেলে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে দক্ষিণ পূর্ব রেলসূত্রে জানা গেছে। লোকাল ট্রেন ছাড়াও বেশকিছু এক্সপ্রেস ট্রেন বিভিন্ন স্টেশনে আটকে রয়েছে । বাতিলও হয়েছে বেশ কিছু ট্রেন।
জানা গেছে অসমের আজারা থেকে ভাস্কো-দা-গামাগামী পণ্যবাহী এক্সপ্রেস ট্রেন সাঁকরাইলের (Sankrail) কাছ দিয়ে যাওয়ার সময় তিনটি বগি লাইন থেকে ছিটকে পড়ে। এর ফলে আপ, ডাউন ও মিডল – তিনটি লাইন বন্ধ হয়ে যায়। ভাস্কো-দা-গামাগামী পার্সেল এক্সপ্রেসের তিনটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে পড়ায় হাওড়া-খড়গপুরের মাঝে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায় রবিবার বিকেলের পর থেকে। আপ লাইনে হাওড়া-টাটা (Howrah-Tata), হাওড়া-আদ্রা (Howrah-Adra), হাওড়া-তিরুপতি Howrah-Tirupati) , হাওড়া-পুরুলিয়া এক্সপ্রেস (Howrah-Purulia), হাওড়া-আমতা ট্রেনগুলি আটকে পড়ে। এদিকে ডাউনে পাঁশকুড়া, হলদিয়া, মেদিনীপুর লোকাল আটকে থাকে মাঝপথে। হাওড়া, টিকিয়াপাড়া থেকে রেলকর্মীরা গিয়ে লাইনচ্যুত (Derailed) পার্সেল ট্রেনের বগিগুলি লাইনে তোলার কাজ শুরু করলেও বগিগুলো লোড থাকায় তুলতে বেগ পেতে হয়। হাওড়া ছেড়েই দাঁড়িয়ে পড়ে দূরপাল্লার কয়েকটি ট্রেন। বাড়ি ফেরতা মানুষজন হাওড়া এসে আটকে পড়েন দীর্ঘক্ষণ। ক্ষোভ উগরে দেন আটকে পড়া রেলযাত্রীরা। তাঁদের অভিযোগ, স্টেশনে দীর্ঘক্ষণ কোনও ঘোষণা না হওয়ার ফলে তাঁরা প্রকৃত কারণ জানতে পারেননি।
মনে করা হচ্ছে রাত পর্যন্ত ট্রেন চলাচল বিঘ্নিত হওয়ায় চরম অসুবিধার মধ্যে পড়তে পারেন যাত্রীরা। রবিবার বলে তুলনামূলকভাবে লোকাল ট্রেন কম । তার উপর এই বিঘ্ন গোদের উপর বিষফোঁড়ার মত হয়ে উঠেছে এদিন। দক্ষিণ পূর্ব রেল (South Eatsern Railway) জানিয়েছে, দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখতে কমিটি তৈরি হয়েছে। তারাই খতিয়ে দেখবে লাইনচ্যুত হওয়ার কারণ। বহন ক্ষমতার তুলনায় বাড়তি পণ্য বোঝাই করা হয়েছিল কি না, তা দেখা হবে। সাধারণত পার্সেলে অতিরিক্ত পণ্য বোঝাই করে পাঠানোর বেআইনি রেওয়াজ রয়েছে বলেই তাঁরা জানান। পুরো ঘটনায় চরম সমস্যার মধ্যে পড়েছেন বিভিন্ন স্টেশনে আটকে থাকা যাত্রীরা।