Saturday, July 27, 2024

Corona Virus: দেশ জুড়ে ফের মাথা চাড়া দিচ্ছে করোনা, তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কায় বিজ্ঞানীরা!শিশুদের আদর করা থেকে বিরত থাকুন বললেন মমতা

- Advertisement -spot_imgspot_img

নিজস্ব সংবাদদাতা: সেপ্টেম্বর চলে এসেছে, বাড়ছে করোনা। ভারতের একদল স্বাস্থ্য বিজ্ঞানী অনুমান সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবরের মধ্যেই ঝাঁপিয়ে পড়তে পারে করোনার ঢেউ। সেই অনুমানকেই যেন মান্যতা দিয়েই যেন একলাফে অনেকটা বাড়ল দৈনিক করোনা (Covid-19) আক্রান্তের সংখ্যা। বৃহস্পতিবার সকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের (Ministry of Health and Family Welfare) দেওয়া পরিসংখ্যান বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৪৭ হাজার ৯২ জন করোনা (Coronavirus) আক্রান্ত হয়েছেন। যা গতকালের থেকে অনেকটাই বেশি। ফলে দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ কোটি ২৮ লক্ষ ৫৭ হাজার ৯৩৭ জন। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, আপাতত মৃতের সংখ্যা ৪ লক্ষ ৩৯ হাজার ৫২৯ জন। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৫০৯ জনের। এই সংখ্যাটাও আগের দিনের থেকে অনেকটাই বেশি।

আরো খবর আপডেট মোবাইলে পেতে ক্লিক করুন এখানে

দেখা যাচ্ছে আক্রান্তের সংখ্যায় সবার উপরে রয়েছে কেরালা। দেশের দৈনিক মৃতের সংখ্যার সিংহভাগই এই রাজ্যে। কেরালার লাগাতার সংক্রমণ গোটা দেশেও উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছে যাচ্ছে কোভিড গ্রাফ। হিসাব বলছে  দেশের মোট আক্রান্তের এই সংখ্যার প্রায় ৭০ শতাংশ কেরলের। সেরাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩২ হাজার ৮০৩ জন। মৃত্যু হয়েছে ১৭৩ জনের। মনে করা হচ্ছে ওনাম উৎসবের জেরেই সে রাজ্যে করোনার এই বাড়াবাড়ি। এদিকে সমস্যা হচ্ছে দৈনিক সুস্থতার তুলনায় আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটাই বেশি। দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ৩৫ হাজার ১৮১ জন। এই সংখ্যাটা দৈনিক আক্রান্তের থেকে অনেক কম। ফলে এক ধাক্কায় অনেকটা বেড়েছে অ্যাকটিভ কেস। আপাতত চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা ৩ লক্ষ ৮৯ হাজার ৫৮৩ জন। এখনও পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩ কোটি ২০ লক্ষ ২৮ হাজারের বেশি মানুষ। ইতিমধ্যেই দেশে করোনা টিকা পেয়েছেন ৬৬ কোটি ৩০ লক্ষ মানুষ।

ঘটনা প্রবাহের দিকে নজর রেখেই হয়ত পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরামর্শ দিয়েছেন শিশুদের আদর করা থেকে যেন জনসাধারন দুরেই থাকেন। মনে করা হচ্ছে করোনাভাইরাসের তৃতীয় ঢেউয়ে শিশুদের সংক্রমণ বাড়তে পারে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের এই আশঙ্কার জেরেই মুখ্যমন্ত্রীর এই সতর্কবাণী। পানাগড়ে একটি প্রকল্পের উদ্বোধন করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘বাচ্চাদের খুব আদর করি আমরা। কখনও গালে চুমু খাই। কখনও মাথায় হাত বুলিয়ে দিই। কখনও মাথায় একটা চুমু খেয়ে নিলাম। এখন এগুলো থেকে দূরে থাকতে হবে। এমনিই আদর করে দিন। ওদের ভাল থাকতে হবে। ওরা আমাদের ভবিষ্যৎ।’

এই মন্তব্য থেকে স্পষ্ট যে তিনিও একইরকম চিন্তিত শিশুদের নিয়ে। তাই তো এই ভাবনা তিনি ব্যক্ত করেছেন। কারন রাজ্য জুড়েও বাড়ছে সংলক্রমন। পরপর দুই দিন ৬০০-এর নিচে থাকার পর পশ্চিমবঙ্গে ফের বেড়েছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী, একদিনে রাজ্যটিতে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৬৭৯ জন। মৃত্যু হয়েছে ১৩ জনের। দৈনিক শনাক্তের নিরিখে প্রথমে রয়েছে উত্তর ২৪পরগনা। তারপরেই রয়েছে কলকাতা। উত্তর ২৪ পরগনায় একদিনে শনাক্ত হয়েছেন ১১৬ জন এবং কলকাতায় আক্রান্ত ১০৬ জন। শুধু দক্ষিণবঙ্গ নয়, রাজ্যটির উত্তরবঙ্গে আক্রান্তের কারণে স্বাস্থ্য দফতরের চিন্তা বাড়ছে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, দার্জিলিংয়ে একদিনে শনাক্ত হয়েছেন ৪৯ জন।

 পানাগড়ের ওই অনুষ্ঠানে করোনার টিকা প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘‌টিকা আমাদের হাতে নেই। এটা কেন্দ্র পাঠায়। আমরা যা টিকা পেয়েছি, তার মাইনাস সাত শতাংশ অপচয় হয়েছে। আর কিছু অপচয় হয়নি। বুধবার পর্যন্ত চার কোটি টিকাকরণ হয়েছে। কিন্তু শিশুদের ধরলে আমার প্রয়োজন ১৪ কোটি টিকা।’‌ কিন্তু টিকা নিতে গিয়ে হুড়োহুড়ি করে ভিড় না করা এবং আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শও দিয়ে তিনি বলেন, ‘‌মাস্ক পরুন, শরীর ঠিক রাখুন। চিকিৎসকদের পরামর্শে নিউমোনিয়া ইঞ্জেকশনটা দিতে হবে।’‌ উল্লেখ্য, রাজ্যে টিকা গতদিন পর্যন্ত পেয়েছিলেন ১২ লক্ষ ৩৬ হাজার ৮২৫ জন। কিন্তু এদিন রাত ১০টা পর্যন্ত কো–উইন পোর্টাল থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী টিকা প্রাপকের সংখ্যা ছিল ৪ লক্ষ ৪২ হাজার ৮১১ জন। বুধবার পর্যন্ত রাজ্যে টিকা পেয়েছেন মোট ৪ কোটি ১৫ লক্ষ ৮৪ হাজার ৯৬৬ জন। সুতরাং টিকা দানে বাংলা কার্যত রেকর্ড করেছে।

- Advertisement -
Latest news
Related news