নিজস্ব সংবাদদাতা: রাজ্য কবে লোকাল ট্রেন চালানোর অনুমতি দেবে ঠিক নেই। বাস, ট্যাক্সি, অটো ইত্যাদি সব কিছু স্বাভাবিক করার পরও ট্রেনেই কেন সরকারের আপত্তি এ প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। যদিও রাজ্য সরকার বিশেষ করে মুখ্যমন্ত্রী যুক্তি দিয়েছেন এখুনি ট্রেন চললে ফের বাড়তে পারে করোনা সংক্রমনের সংখ্যা। এদিকে রেলের তরফে স্পেশাল ট্রেন চালিয়ে নিজেদের লোকসান পুষিয়ে নিতে চেষ্টা হচ্ছে। এতে যাত্রীদের বেশি ভাড়া গুনতে হচ্ছে ঠিকই কিন্তু মানুষ কিছুটা স্বস্তি পাচ্ছেন ট্রেন যাত্রায়। সেই মতই এবার রেলের সংযোজন দিঘা-হাওড়া স্পেশাল ট্রেন।
আর স্পেশাল ট্রেন যাত্রীদের তরফে বাড়তে থাকা চাহিদার কথা মাথায় রেখেই পুজোর আগেই চালু হচ্ছে । লকডাউন ওঠার পর থেকেই সমুদ্র সৈকত দিঘায় অবসর কাটাতে যাওয়ার জন্য পর্যটকদের ভিড় বাড়ছে। পুজোর সময় একদিন দুদিনের জন্য অনেকেই আছেন যারা ছুটি কাটাতে দিঘায় ঘুরতে যান।
তাঁদের জন্য সুখবর যে পুজোর ঠিক আগেই এই ট্রেন চালু করল রেল। রেলের তরফে এই বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলা হয়েছে ৭ই সেপ্টেম্বর মানে আজই, মঙ্গলবার প্রথম যাত্রা শুরু করছে দিঘা গামী স্পেশাল ট্রেন। পুজোর আগে তাম্রলিপ্ত এক্সপ্রেস চালুর দাবি জোরালো হচ্ছিল কারণ সাধ্যের মধ্যে দিঘা পৌঁছতে চান পর্যটকরা।
তবে, করোনা অনেকটা নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে। পুজোর আগেই পর্যটকদের খোঁজখবর নেওয়া শুরু হয়ে গেছে। দিঘাগামী ট্রেন কবে থেকে চলবে সেই নিয়ে ব্যাপক কৌতূহল ছিল পর্যটকদের মধ্যে। হাওড়া দিঘা ট্রেন চালু না হওয়ায় নিত্যযাত্রীদের মধ্যে বাড়ছিল ক্ষোভ। সেই দাবি কিছুটা হলেও মেনে নেওয়া হল।
এই পরিষেবা চালু হওয়ায় পর্যটকদের একদিকে যেমন সুবিধা হবে অপর দিকে দিঘার হোটেল মালিক এবং পর্যটন ব্যবসায়ীদের সুবিধা হবে বলেও মনে করছেন অনেকে। এবার পুজোয় অনেকেই কলকাতার ভিড় এড়াতে দিঘায় যাবেন। সড়ক পথে দিঘা গেলেও গেলেও সাধ্যের মধ্যে সকলের ট্রেন পছন্দ। এই ট্রেন চালু হওয়ায় পর্যটক এবং পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত মানুষজন যে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলল তা বলাই বাহুল্য।
তবে মাথায় রাখা দরকার যে, এটি স্পেশাল ট্রেন হওয়ার সুবাদে যাত্রীদের আগে থেকে আসন সংরক্ষন করতে হবে টিকিট কেটে। সংরক্ষিত আসন ছাড়া যাত্রীরা এই ট্রেনে চড়তে পারবেননা। সুবিধা অনুযায়ী যে কোনও স্টেশন বা স্থান যেখানে সংরক্ষিত টিকিট কাটার সুবিধা রয়েছে সেখান থেকেই টিকিট কাটা যাবে। অন লাইননেও IRTC পোর্টাল থেকে টিকিট কাটতে পারেন। সেক্ষেত্রে যদি মোবাইল থেকে কেউ টিকিট কাটেন তাহলে মোবাইলেই টিকিট ডাউনলোড করে রেখে দিন।
এবার জেনে নিন কোথায় কোন স্টেশনে এই ট্রেন দাঁড়াবে, যাত্রীরা ওঠা নামা করতে পারবেন। ট্রেন হাওড়া থেকে ছাড়বে সকাল 6.50। সাঁতরাগাছিতে ২মিনিট দাঁড়াবে। 7.06মিনিটে পৌঁছে 7.08 ছাড়বে। উলুবেড়িয়া থেকে ছাড়বে 7.29, মেছেদা 7.51, তমলুক 8.30, কাঁথি 9.27, রামনগর থেকে ছাড়বে 9.49 এরপরই দিঘায় পৌঁছাবে।
এই ট্রেনটি দিঘা থেকে ছেড়ে আসবে বেলা 10.35 য়ে। রামনগর ছাড়বে 10.44. এইভাবে কাঁথি ছাড়বে 11.08, তমলুক 12.02, মেছেদা 12.35, উলুবেড়িয়া 12.59, সাঁতরাগাছি 13.19 হাওড়া পৌঁছাবে 13.55তে। তাহলে আর কেন? এবার চলো দিঘা।