![](http://kgpbangla.in/wp-content/uploads/2021/10/Screenshot_20211006-114531_WhatsAppBusiness.jpg)
নিজস্ব সংবাদদাতা: বুধবার, মহালয়ার পুণ্যতিথিতেই পুজোর ঢাক বাজতে শুরু করেছে বাঙালির বুকে। পিতৃপক্ষ শেষ, এখন দেবীপক্ষের শুরু। প্রায় ১মাস ধরে বাঙালির ঘরে ঘরে উৎসবের আয়োজন। ব্যতিক্রম নেই খড়গপুর শহর। ইন্দা থেকে প্রেমবাজার, কৌশল্যা থেকে কলাইকুন্ডা সাধ্য মত চলছে পুজোর আয়োজন।
আপাততঃ কয়েকদিন বৃষ্টি নেই, অন্ততঃ এমনটাই জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। পুজোর সময় বৃষ্টি হবে কিনা নিশ্চিত ভাবে এখনও বলে উঠতে পারেননি তাঁরা। যদিও এই অক্টোবর মাসেই আরও তিনটি নিম্নচাপ হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে বলেই জানিয়েছেন তাঁরা। সেই নিম্নচাপ ঠিক কবে কখন একথা নিশ্চিত ভাবে বলা যায়নি। তবে পুজোর সময় বৃষ্টি হোক আর নাই হোক ভালো গরম থাকবে বলেই জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।
![](http://kgpbangla.in/wp-content/uploads/2021/10/IMG-20210926-WA0047.jpg)
বৃষ্টি শেষ হতেই খড়গপুর শহর ও তার আশেপাশে মাথা তুলেছে সাদা কাশের দল। কোথাও কাশের ঘন জঙ্গলে হারিয়ে যাওয়ার ঠিকানা। KGP Bangla র টিম বিভিন্ন জায়গা ঘুরে নিয়ে এসেছে কাশবনের তেমনই সূলুক সন্ধান। যারা যেতে যান এখুনি ঘুরে আসুন শহরের কাছাকাছি সেই সব কাশের বনে। মন আনন্দে ভরে যাবে।
![](http://kgpbangla.in/wp-content/uploads/2021/10/IMG-20210926-WA0027.jpg)
শহরের সব চেয়ে কাছের ঘন কাশের জঙ্গলটি পাওয়া যাবে বিদ্যাসাগর ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক বা শিল্প তালুকে। যারা জায়গাটা চেনেননা তাঁদের জন্য বলা যে খড়গপুর কলেজ ছাড়িয়ে সোজা চৌরঙ্গীর দিকে যাওয়ার পথেই এই শিল্প তালুকের একটি গেট ডানদিকে। বাইক কিংবা চারচাকা নিয়ে ঢুকে যান। গেটে আটকাবেনা। সোজা এক কিলোমিটার গেলেই যে আইল্যান্ড পড়বে তার ডান হাতের চওড়া রাস্তা ধরুন।
![](http://kgpbangla.in/wp-content/uploads/2021/10/IMG-20210926-WA0036.jpg)
একদম শেষপ্রান্তে গিয়ে ডান দিকে তাকালেই মনভরে যাবে। দেখবেন লম্বা হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে রাশিরাশি কাশের দল। আর তার পেছনে মাথা তুলে দাঁড়িয়ে রয়েছে আমাদের প্রিয় শহর। আদিগন্ত বিস্তৃত এই কাশের বনের মধ্যে গিয়ে আপনি তুলে নিতে পারেন প্রিয়জনের সঙ্গে সেলফি কিন্তু মাথায় রাখবেন এই সেলফি বা ছবি শ্যুট করতে হলে বেলা চারটার মধ্যে করতে হবে। এরপর সূর্য পশ্চিমে ঝুঁকে পড়বে।
শহর ছড়িয়ে একটু দূরত্বে যেতে চাইলে আপনাকে কৌশল্যা হয়ে বারবেটিয়া- জামনা রাস্তা ধরতে হবে। বারবেটিয়া থেকে বাঁহাতি প্রায় চার কিলোমিটার গেলে চাঙ্গুয়াল। এই চাঙ্গুয়াল ছাড়িয়ে মাত্র ৫০০মিটারের মধ্যেই ৬০নম্বর জাতীয় সড়ক। তার মাঝখানে বাঁদিকে দেখুন শুধুই কাশের বন।
![](http://kgpbangla.in/wp-content/uploads/2021/10/IMG-20210926-WA0044.jpg)
যদি আপনি রাস্তা চেনেন তাহলে বরং আপনি বারোবেটিয়া দিয়েই শুরু করুন। চাঙ্গুয়ালের কাশের বন দেখে উঠে পড়ুন জাতীয় সড়কে তারপর বাঁদিক ধরে জাতীয় সড়ক বরাবর উত্তরে উঠে আসলে ৭কিলোমিটার পরেই ফের ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের দ্বিতীয় গেট পাবেন। এখান দিয়ে ভেতরে ঢুকে সেই কাশের বন দেখে শহরে ফিরতে পারেন।
তবে খড়গপুর শহর থেকে আর একটু দুরে গেলে পাবেন সবচেয়ে বড় কাশের বন যা কিনা সমস্ত কাশের জঙ্গলকে ছাড়িয়ে যাবে। শুধু তাই নয় আমাদের বিচারে এতবড় কাশের জঙ্গল এই এলাকায় আর কোথাও নেই। আপনি যদি এক সঙ্গে খড়গপুরের আশেপাশের সমস্ত কাশের বন দেখতে চান তবে আপনাকে বলব আপনি চাঙ্গুয়ালের কাশ দেখার পর জাতীয় সড়কে উঠে সোজা উত্তরে রূপনারায়নপুর পেরিয়ে কলকাতা অভিমুখী রাস্তা ধরে কৃষ্ণনগর ক্রসিংয়ে আসুন। তারপর মেদিনীপুর মোহনপুরগামী পশ্চিমদিকে জিনশহরের রাস্তায় নেমে যান।
![](http://kgpbangla.in/wp-content/uploads/2021/10/IMG-20210926-WA0026.jpg)
আপনার বাম দিকে থাকবে কংসাবতী ক্যানেল। মাত্র কয়েকশ মিটার এগিয়ে ডানদিকেই দেখতে পাবেন সেই ঘন লম্বা কাশের বন। আমরা হলফ করে বলতে পারি এতবড় এবং ঘন কাশের বন আশেপাশের ১০কিলোমিটারের মধ্যে কোথাও পাবেননা। রাস্তার একপাশে গাড়ি রেখে কাছের মানুষের সাথে হারিয়ে যান ওই কাশের জঙ্গলে। কেউ খুঁজে পাবেনা আপনাদের। এরপর মোহনপুর থেকে ফের খড়গপুরের রাস্তা ধরে চৌরঙ্গী পেরিয়ে বাঁ হাতে ঢুকে যান ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে। একদিনে এই তিনটি স্পট আপনি দেখতে পারেন।
![](http://kgpbangla.in/wp-content/uploads/2021/10/Screenshot_20211006-114619_WhatsAppBusiness.jpg)
এছাড়াও পুজোর আগে বা সময়ে খড়গপুরের কোথায় কোথায় ফটোশ্যুট বা সেলফি তুলতে যাবেন জানতে হলে আমাদের KGP Bangla পোর্টালে নজর রাখুন। চলে আসুন আমাদের Whatsapp গ্রুপ অথবা Facebook পেজে। আর কাশের বনে নামার আগে একটা কথা মনে রাখবেন যে ঘন কাশের বনে সাবধানে পা ফেলতে হবে। মাটির দিকে নজর দেবেন কারন সাপ ছাড়াও বিষাক্ত পোকামাকড় থাকতে পারে। কাশের কাঠি ধারালো হয়, শরীরের খোলা অংশ চিরে যেতে পারে।