নিজস্ব সংবাদদাতা: শনিবার ভোর বেলাতেই হোটেল চত্বর থেকে উদ্ধার হওয়া এক পর্যটকের রক্তাক্ত দেহকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে দিঘায়। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে মৃত পর্যটকের নাম আব্দুল আলিম। ২২ বছরের আব্দুলের বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার নিউ ব্যারাকপুর থানার বদাই এলাকার বাসিন্দা। শুক্রবার আরও কয়েকজন সঙ্গীর সাথে দিঘায় এসেছিলেন। ১৩ জনের এই দলটিতে কয়েকজন পড়ুয়াও রয়েছে। নিজের বাড়ির কাছাকাছি একটি কারখানায় কাজ করতেন আব্দুল। শনি ও রবিবারের ছুটি মাথায় রেখেই দিঘা বেড়াতে এসেছিলেন সঙ্গীদের সঙ্গে।
ঠিক কিভাবে আব্দুলের মৃত্যু হয়েছে তা এখনও জানা যায়নি। তবে আব্দুলের সঙ্গে থাকা অন্যান্যরা পুলিশকে জানিয়েছে, ভোরবেলা সূর্যোদয় দেখতে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাদের। সেই মতই রাতে খাওয়াদাওয়া শেষ করে তারা সবাই ঘুমিয়ে পড়েছিল। ভোর সাড়ে ৪ টা নাগাদ সবাই উঠে দেখে ঘরে নেই আলিম। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় নিচে পড়ে থাকতে দেখা যায় তাকে। দ্রুত উদ্ধার করে দিঘা হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। হাসপাতাল থেকেই খবর যায় পুলিশে। পুলিশ এসে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
বিষয়টি নিয়ে পুলিশের তরফেও কোনও প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। পুলিশ ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, আব্দুলদের দলটি হোটেলের তিন তলায় ছিল। আর তাঁর দেহ মিলেছে তাঁদের তিনতলার ঘরটির ব্যালকনির ঠিক নিচেই। যা থেকে অনুমান করা যেতে পারে ব্যালকনি থেকেই নিচে পড়ে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু কিভাবে পড়লেন, অসাবধানতা বশত নিজেই পড়ে যান নাকি অন্য কোনও ভাবে। তাঁর মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। নাকে, মুখে রক্ত লেগে রয়েছে। দাঁতও ভেঙেছে বলে জানা গেছে। যা দেখে প্রাথমিক ভাবে মনে হয় ব্যালকনি থেকে ঝুঁকে কিছু দেখতে গিয়ে সরাসরি মুখ থুবড়ে পড়ে গেছিলেন তিনি। যদিও এই ঘটনায় আব্দুলের পরিবার অথবা সঙ্গীদের তরফে কোনও অভিযোগ জানানো হয়নি পুলিশে। একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্তে নেমেছে দিঘা মোহনা কোস্টাল থানার পুলিশ।