Saturday, July 27, 2024

Haldia: হলদিয়ায় অল ইন্ডিয়া মাইনোরিটি আ্যশোসিয়েশনের বিশাল মিছিল! পুরভোটের আগে চিন্তার ভাঁজ শাসকের কপালে

- Advertisement -spot_imgspot_img
ইট ছোঁড়া হয় সরাসরি গাড়ির মুখেই

নিজস্ব সংবাদদাতা: আনিস কান্ড ও বগটুই হত্যাকাণ্ডের পর ভাটা পড়েছে শাসকের ভোট ব্যাংকে। তার ওপর নতুন করে শাসকের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলল শুক্রবার হলদিয়ায় অল ইন্ডিয়া মাইনোরিটি আ্যশোসিয়েশন বা আইমার (AIMA) বিশাল প্রতিবাদ মিছিল! মঙ্গলবার পূর্ব মেদিনীপুরের খঞ্চিতে প্রকাশ্য রাজপথে আক্রান্ত হয়েছে ‘আইমা’র সর্বভারতীয় সভাপতি সৈয়দ খালেদ হুসেইনের গাড়ি। ৭২ ঘন্টা পেরিয়ে যাওয়ার পরও সেই ঘটনার কোনও সুরাহা হয়নি। তারই প্ৰতিবাদের পুলিশি ‘নিষ্ক্রিয়তা’র অভিযোগ তুলে সারা রাজ্য জুড়েই বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দিয়েছিল আইমা। রাজ্যে জুড়ে সেই মিছিলের মধ্যে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন অংশে মিছিল ছিল নজরে পড়ার মত। আর তারমধ্যে নজর কেড়ে নিয়েছে হলদিয়া। এদিন আইমার দাবি অনুযায়ী প্রায় সাড়ে তিন হাজার মানুষ হলদিয়া শহরের চার কিলোমিটার পথ অতিক্রম করেছেন।

আরো খবর আপডেট মোবাইলে পেতে ক্লিক করুন এখানে

আইমার রাজ্য কমিটির অন্যতম সদস্য তথা হলদিয়া শাখার প্রধান কর্মকর্তা আব্দুল সেলিম জানিয়েছেন,”
সৈয়দ খালেদ হুসেইন শুধুই আইমার সভাপতি নন, তিনি আমাদের মুসলিম সম্প্রদায়ের পীর। তাঁর জীবন যাপন কেবল মুসলিম সম্প্রদায়ের নয় হিন্দু সহ সমস্ত ধর্মাবলম্বীদের কাছে প্রশংসিত। তিনি আমাদের ভাইজান, আমাদের ধর্মগুরু।

সৈয়দ খালেদ হুসেইন

জীবনভর সমস্ত ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে শান্তির বাণী প্রচার করেছেন তিনি। এ হেন একজন মানুষের ওপর জাতীয় সড়কের ওপর প্রকাশ্য হামলায় আমরা যতটা না হতবাক হয়েছি তার চেয়েও হতবাক হয়েছি পুলিশের চরম নিষ্ক্রিয় ভূমিকায়। ৭২ ঘন্টা পেরিয়ে যাওয়ার পরও দুষ্কৃতিরা চিহ্নিত বা গ্রেফতার হয়নি। আমাদের এই প্রতিবাদ মিছিল তাই পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার বিরুদ্ধে। এই মিছিল থেকে আমরা তাই হুঁশিয়ারি দিয়েছি, অনতি বিলম্বে দোষীরা গ্রেফতার না হলে আরও বৃহত্তর আন্দোলনে যাব আমরা। প্রয়োজনে ভারত বনধের ডাক দেওয়া হবে।”

আইমার এক সদস্য জানিয়েছেন, ” আমরা লক্ষ্য করছি রাজ্য জুড়ে শাসকদলের একটি অংশের মধ্যে সংখ্যালঘু বিদ্বেষ বাড়ছে। আনিস হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে হলদিয়ায় সামান্য ক্ষনের জন্য পথ অবরোধ করেছিলাম আমরা। তারজন্য মামলা করা হয়েছে আমাদের বিরূদ্ধে। অথচ আজকের শাসকদল যখন সিঙুর, নন্দীগ্রাম আন্দোলন করছিল তখন সেই আন্দোলনে আমরাও অংশীদার ছিলাম। আজ শাসন ক্ষমতা পেয়েই রাতারাতি বদলে গেছেন এঁরা। প্রতিহিংসামূলক আচরণ করা হচ্ছে। গত ২৮ মে হলদিয়াতে তৃনমূল সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় হলদিয়ায় সভা করে যাওয়ার পর থেকেই যেন সংখ্যালঘু বিদ্বেষ আরও মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে। আর তার পরপরই ৪১ নম্বর জাতীয় সড়কের ওপর ‘হুজুর সৈয়দ খালেদ হুসেইনের গাড়ির ওপর হামলাকে কাকতালীয় ঘটনা বলে মানতে পারছিনা আমরা। এই ঘটনার সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে। মনে রাখতে হবে হুজুরের ওপরের এই আক্রমনের প্রতিবাদ করেছেন হিন্দু সমাজেরও বৌদ্ধিক অংশ। আজ মিছিলে তাঁরাও পা মিলিয়েছিলেন।”

হলদিয়ায় আইমার এই মিছিল কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে হলদিয়া তৃনমূল কংগ্রেসের। কারন আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই হলদিয়া পুরসভা নির্বাচন। এমনিতেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জীর্ণ হলদিয়ার শাসকদল। পরপর দুটি বিধানসভায় পরাজয়ের মুখ দেখতে হয়েছে তাদের। গত ৫বছরে বারবার পরিবর্তন করতে হয়েছে পুরসভার চেয়ারম্যান।গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের প্রাবল্য এতটাই যে পুরসভায় যাঁরা শাসকদলের টিকিট পাবেননা তাঁদের কাছ থেকে অন্তর্ঘাতের আশঙ্কা রয়েছে। এরই মধ্যে যদি হলদিয়া পুর এলাকার ১৬%  সংখ্যালঘুরা মুখ ফিরিয়ে নেয় তা’হলে আসন্ন পুরভোটে বিপর্যয়ের সম্ভবনা প্রবল।

- Advertisement -
Latest news
Related news