Saturday, July 27, 2024

Midnapore: ষোড়শীকে বিয়ে করতে ব্যর্থ হয়ে অপহরনের চেষ্টা প্রৌঢ়ের, বাধা পেয়ে ছুরি! আশঙ্কায় পশ্চিম মেদিনীপুরের সাহসিনী

- Advertisement -spot_imgspot_img

শশাঙ্ক প্রধান: এক ১৬বছরের কন্যাকে দেখার পর পছন্দ হয়ে গেছিল ৫৫বছরের প্রৌঢ়ের।বারবার বিয়ের প্রস্তাব দিয়েও ছিল মেয়ের বাড়িতে কিন্তু বুড়োর হাতে মেয়ে দিতে নারাজ নয় মেয়ের পরিবার। তাই অপহরনের পরিকল্পনা নেয় ওই ব্যক্তি। কিন্তু বাধা দেয় ওই সাহসিনী কন্যা। বিয়ের পর অপহরণেও ব্যর্থ হয়ে শেষ মেশ ওই কিশোরীর গলায় ছুরি বসিয়ে দিল প্রৌঢ়। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই

আরো খবর আপডেট মোবাইলে পেতে ক্লিক করুন এখানে

নাবালিকা মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাধীন। বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পিংলা থানার অধীন। যদিও গ্রামবাসীদের বক্তব্য, বিয়ে করা নয়, বিয়ের ফাঁদে ফেলে মেয়ে পাচারই এই ব্যক্তির আসল কারবার।

জানা গেছে ওই সাহসিনী কন্যার বাড়ি পিংলা থানার ক্ষীরাই গ্রাম পঞ্চায়েতের বলিশ্বরপুরে। তার নাম আসমা খাতুন। ১৬ বছরের আসমা পিংলা গার্লস হাইস্কুলের দশম শ্রেণীর ছাত্রী।অন্যদিকে সেক মজফ্ফর নামের ওই ব্যক্তির বাড়ি ক্ষীরাইতে।। বাবা মার একমাত্র সন্তান ওই কন্যা। সম্প্রতি তার বিয়ে দেওয়ার জন্য ভাবনা চিন্তা করছিল পরিবার। সেই উদ্দেশ্যে পাত্রের খোঁজ চলছিল। মাস খানেক আগে মেয়েটিকে দেখতে এসে ক্ষীরাই গ্রামের ওই ব্যক্তি। বাড়িতে আসায় দুর্ব্যবহার করেনি মেয়েটির বাবা মা। মেয়েটিকে দেখে যায় ওই প্রৌঢ়। কিন্তু মেয়ের বাবা-মা জানিয়ে দেয় তাঁর সঙ্গে তাঁরা মেয়ের বিয়ে দেবেননা। মেয়েটিও এই বিয়ের প্রস্তাব নাকচ করে। এরপরও বেশ কয়েকবার মেয়ের বাবাকে বিয়ের প্রস্তাব পাঠায় ওই ব্যক্তি। কিন্তু প্রতিবারই মেয়ের বাবা সেই প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বুধবার সন্ধ্যায় বলিশ্বরপুরে মেয়েটির বাড়ির পাশেই একটি ম্যাজিক-শো অনুষ্ঠিত হচ্ছিল। আসমা সেই ম্যাজিক-শো দেখতে গেছিল। ওই সময় একটি মারুতি ভ্যান ম্যাজিক শোয়ের মাঠে এসে দাঁড়ায়। এক ব্যক্তি আসমার নাম ধরে ডাকে। মেয়েটি কিছু বুঝতে না পেরে ওই মারুতি ভ্যানের কাছে যেতেই ওই ব্যক্তি তাকে জোর করে গাড়ির ভেতরে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু ওই অসমসহসী কন্যা রুখে দাঁড়ায়। লোকটির সঙ্গে ধস্তাধস্তির পাশাপাশি চিৎকার করতে থাকে সে। আসমার চিৎকার শুনে ছুটে আসে মেয়ের বাবা-মা ও প্রতিবেশীরা। অপহরণ করাতো সম্ভবই নয় উল্টে ধরা পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখে মেয়েটির হাত থেকে বাঁচতে লোকটি পকেট থেকে ছুরি বের করে মেয়েটির গলায় বেশ কয়েকটি কোপ বসিয়ে দেয়।এরপরই লুটিয়ে পড়ে ওই ষোড়শী কন্যা। পালিয়ে যায় ওই ব্যক্তি।

গ্রামের লোকেরা তড়িঘড়ি ওই নাবালিকাকে নিয়ে রওনা হয় পিংলা গ্রামীন হাসপাতালে। কিন্তু তার গলার আঘাত এতটাই গভীরে ছিল যে কোনও ঝুঁকি নেননি চিকিৎসকরা। রাতেই তাকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করার পরামর্শ দেন তাঁরা। এরপরই নাবালিকাকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসকরা দ্রুত তার চিকিৎসা শুরু করে দেন। বর্তমানে সে আশঙ্কা মুক্ত হলেও তার আঘাত অত্যন্ত গুরুতর বলে জানা গেছে।

এদিকে রাতেই বলিশ্বরপুরের বাসিন্দারা পিংলা থানায় হাজির হন ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতারের দাবি নিয়ে। পুলিশ রাতেই ওই ব্যক্তির উদ্দেশ্যে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে। যদিও এখনও খোঁজ মেলেনি ওই ব্যক্তির। স্থানীয়রা দাবি করেছে, বিয়ের নাম করে কিশোরী, তরুণীদের ফাঁদে ফেলে বিভিন্ন জায়গায় মেয়েদের দিয়ে দেহ ব্যাবসা করানোই এই গ্যাংয়ের কাজ। মজফ্ফর ছাড়াও আরও কয়েকজন এই গ্যাংয়ে রয়েছে।

- Advertisement -
Latest news
Related news