নিজস্ব সংবাদদাতা: গতকাল মহানগর লাগোয়া খড়দহে একই পরিবারে মৃত্যু হয়েছিল ৩ জনের। মর্মান্তিক সেই ঘটনার পাশাপাশি মৃত্যু হয়েছিল টিটাগড়ে এক কিশোরেরও। সেই ঘটনার ২৪ ঘন্টা পেরুলোনা, ফের সেই একই মর্মস্পর্শী ঘটনার পুনরাবৃত্তি হল মহানগরেই। এবার একই সাথে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল দুই কিশোরী বান্ধবীর। গোটা ঘটনায় মনে হচ্ছে যেন মহানগর যেন মৃত্যু ফাঁদ পেতে রেখেছে বিদ্যুতের। বুধবার সন্ধ্যায় দমদমে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় ২ কিশোরীর।
জানা গেছে রাস্তার পাশের বিদ্যুতের খুঁটিতে হাত দিতেই প্রথমে এক কিশোরী বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়। তাকে বাঁচাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় আর এক কিশোরী। ঘটনাটি দক্ষিণ দমদমের বান্ধবনগরের। মৃতদের মধ্যে ১৪ বছরের এক কিশোরীর বাড়ি বান্ধবনগরে। অন্য কিশোরী দমদমেরই মতিঝিলের বাসিন্দা। তার বয়স ১২। ঘটনার পরই গোটা এলাকার বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়।
চলতি সপ্তাহের শুরু থেকেই বৃষ্টি চলছে শহরে। বান্ধবনগরের ওই দুর্ঘটনাস্থলে কয়েক দিন ধরেই জল জমে রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, বুধবার সন্ধ্যায় ওই ২ কিশোরী রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় বিদ্যুতের খুঁটিতে হাত দিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়। খবর দেওয়া হয় দমদম থানায়। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলও। পরে দুই কিশোরীকে উদ্ধার করে আরজি কর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে দু’জনকেই মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।
উল্লেখ্য মঙ্গলবার খড়দহের একটি সরকারি আবাসনে সুইচবোর্ডে হাত দিয়ে একজন তড়িদাহত হওয়ার পর তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে একে একে মৃত্যু হয় তিনজনের। ফের ওইদিনই নিজের দিদিকে টিউশনে পৌঁছে দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে জমা জলে পা দিয়েই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় এক কিশোরের। ঠিক একই ভাবে মে মাসে কলকাতার রাস্তায় জমা জলে পা দিয়েই মৃত্যু হয়েছিল এক কিশোরের। বৃষ্টি হলেই গোটা কলকাতা যেন বিদ্যুতের মৃত্যু ফাঁদ বিছিয়ে রেখেছে।