নিজস্ব সংবাদদাতা: কলেজ খুলতে না খুলতেই করোনা আক্রান্ত হয়েছেন একই কলেজের তিন অধ্যাপক, উপসর্গ নিয়ে হোম আইসোলেশনে চলে গেছেন আরও ২জন অধ্যাপক। আক্রান্ত ৩ অধ্যাপকের মধ্যে ২জন অধ্যাপকের স্ত্রীও আক্রান্ত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। ঘটনা চক্রে এই তিন অধ্যাপকই মেদিনীপুর শহরের বাসিন্দা। ফলে মেদিনীপুর শহরে করোনা সংক্রমন বৃদ্ধি হচ্ছে বলেই মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে থাকা ৫ অধ্যাপকই পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সবং সজনীকান্ত মহাবিদ্যালয়ের। ফলে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ওই এলাকায়।
একটি বিশেষ সূত্রে জানা গেছে ১৬তারিখ রাজ্যের অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মতই পঠনপাঠন শুরু হয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সবং থানায় অবস্থিত সজনীকান্ত মহাবিদ্যালয়ে। ১৮তারিখ। তারিখ থেকে জ্বর ও ঠান্ডা লাগার অনুভব তৈরি হয় সংস্কৃত, রসায়ন ও আ্যকাউন্টেসি বিভাগের ৩ অধ্যাপকের। কয়েকদিন পেরিয়েও সেই উপসর্গ না কমায় চিকিৎসকের স্মরণাপন্ন হন তাঁরা। চিকিৎসকরা তাঁদের কোভিড পরীক্ষা করাতে বলেন। ২২শে নভেম্বর তাঁরা করোনা পরীক্ষা করান। এরপরই জানা যায় ওই তিনজনই পজেটিভ। শুধু তাই নয় ওই ৩ অধ্যাপকের ২জনের স্ত্রীও করোনা পজেটিভ বলে জানা গেছে।
আরও জানা গেছে ওই মহাবিদ্যালয়ের ইতিহাস ও রসায়ন বিভাগের আরও ২ অধ্যাপকের করোনা উপসর্গ পরিলক্ষিত হওয়ায় তাঁরা আগে ভাগেই হোম আইসোলেশনে চলে গেছেন। তাঁরাও নমুনা দিয়েছেন করোনা পরীক্ষার জন্য যদিও এখনও অবধি ফলাফল জানা যায়নি। ঘটনা জানাজনি হওয়ার পরই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে সবং কলেজে। ওঁরা মেদিনীপুর থেকে করোনা জীবাণু নিয়ে গেছিলেন নাকি সবং থেকেই ওনারা করোনা জীবাণু নিয়ে মেদিনীপুর শহরে গিয়েছিলেন তাই নিয়েও বিতর্ক জমে ওঠার অবকাশ রয়েছে।
সবং কলেজ সূত্রে আরও জানা গেছে অধ্যাপকদের সবারই করোনার দ্বিতীয় বা চূড়ান্ত টিকা নেওয়া ছিল। ওই তিনজনের ২জন এবছরের ২২ এবং
২৬ এপ্রিল করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছিলেন। অন্যজন সেপ্টেম্বরের ২তারিখ নিজের চূড়ান্ত টিকা নিয়েছিল। ঘটনা জানার পরই চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিয়েছেন সবং কলেজ কর্তৃপক্ষ। করোনা বিধি মেনে যাতে ক্লাশ হয় সেভাবে কঠিন নজরদারি শুরু হয়েছে পাশাপাশি অনলাইন পাঠক্রমে ফের জোর দেওয়া শুরু হয়েছে। বুধবার পুরো কলেজ চত্ত্বর গুরুত্ব দিয়ে স্যানিটাইজ করা হয়েছে বলে জানালেন স্কুল কর্তৃপক্ষ।
সবং কলেজের একটি সূত্র জানিয়েছে ইত্যিমধ্যেই কলেজের সাড়ে তিন হাজার পড়ুয়াকে ভ্যাকসিন দেওয়ানো হয়েছে। তাই হয়ত আক্রান্ত সেই ভাবে হবেনা তবুও নতুন করে ভাবতে শুরু করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। সবং তৃনমূল ছাত্র পরিষদের নেতা পুলক সামন্ত জানিয়েছেন, বিষয়টি তাঁরা গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন। ইতিমধ্যে অধ্যক্ষর সঙ্গে তাঁরা কথা বলেছেন।
পুলক সামন্ত জানান, ‘ হ্যাঁ তিনজন অধ্যাপক আক্রান্ত হয়েছেন।আরো ২জনউপসর্গ হয়ে রয়েছি। অপধ্যাকসবেমাত্র অন লাইন কাটিয়ে অফ লাইন শুরু হয়েছিল। তারই মধ্যে এই ঘটনায় ফের ধাক্কা খাবে পঠনপাঠন। তাই আমাদের আবেদন অনলাইনে পড়াশুনার হার বাড়াতে হবে।’