নিজস্ব সংবাদদাতা: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে পূরানের দুই দানব শুম্ভ নিশুম্ভের সঙ্গে তুলনা করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়রূপী মা কালী তাঁদের নিকেশ করে জানালেন রাজ্যের মন্ত্রী হুমায়ুন কবীর। শনিবার পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরা থানার অন্তর্গত রাধামোহনপুর বাজারে একটি ক্লাবের কালীপূজো উপলক্ষ্যে আয়োজিত বস্ত্রদান শিবিরে হাজির হয়ে এমনই বললেন ডেবরার বিধায়ক কবীর।
এদিন রাধামোহনপুর হিন্দুস্তানী ক্লাব আয়োজিত এই অনুষ্ঠানটি ছিল এলাকার কয়েকশ দুস্থ: পরিবারকে বস্ত্র ইত্যাদি সহায়তা প্রদান। উৎসবের রজতজয়ন্তী বা ২৫বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে আমন্ত্রিত ছিলেন মন্ত্রী। উৎসব ও আনন্দ উদযাপনের পাশাপাশি গরিব মানুষের প্রতি ক্লাবের এই সহায়তা প্রদানকে একটি মহৎ প্রচেষ্টা বর্ননা করে মন্ত্রী বলেন, এই যে আপনারা ৫০জনের উৎসবকে শতশত জনের মধ্যে বন্টন করছেন এটাই হল প্রকৃত উৎসব। আমরা একা একা কখনও আনন্দ উপভোগ করতে পারিনা যদি না আরও অনেক বেশি মানুষ সেই আনন্দের অংশীদার হতে পারেন। আপনাদের আন্তরিক অভিবাদন জানাই এই মহৎ উদ্যোগের জন্য।
এরপরই মন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘অন্ধকার সময়ের গর্ভ থেকে জন্ম হয়েছিল মা কালীর। তাঁর ওই সংহার রূপ আসলে একটি প্রতীক আর সেই প্রতীক হল অশুভ শক্তির সংহার করে সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা। বিভিন্ন রূপে এই মা কালী অবতীর্ণ হন। আমরা তেমনই এক মাকালীকে পেয়েছি যিনি বাংলায় এক অরাজক অবস্থা ও অস্থির পরিস্থিতি দূর করে শান্তি প্রতিষ্ঠা করেছেন।’
মন্ত্রী বলেন, ‘এবার ২০২৪ সালে তাঁকে নিয়ে আমরা দিল্লি যাব এবং সেখানে শুম্ভ অশুম্ভ রূপী দানবদের নিকেশ করে দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা করবেন। এই শুম্ভ নিশুম্ভের রাজত্বে আমাদের প্রাণ ওষ্ঠাগত হয়ে গেছে। রান্নার গ্যাসের দাম হাজার টাকা ছড়িয়েছে আর পেট্রোলের দাম ১১০টাকা।’
অনুষ্ঠানে ক্লাবের কর্মকর্তারা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সাংসদ দেবের প্রতিনিধি তথা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তৃনমূলের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক সীতেশ ধাড়া, ডেবরা পঞ্চায়েত সমিতির বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ প্রদীপ কর এবং অন্যান্য নেতৃত্ববৃন্দ। ক্লাবের পক্ষ থেকে প্রায় ২৫০জনকে শাড়ী ও শীতবস্ত্র, খাদ্য সামগ্রী প্রদান করা হয়।
এদিন বিধায়কের পক্ষ থেকে সত্যপুর গ্রামপঞ্চায়েতের বেলাড় এবং ভরতপুর গ্রামপঞ্চায়েতের বৌলাসিনীতেও পৃথক পৃথকভাবে কয়েক শত নারীপুরুষ বৃদ্ধ বৃদ্ধাকে শাড়ি, কম্বল ও ১৫বছরের ঊর্ধদের জামাকাপড় দেওয়া হয়েছে। ডেবরা থানার উদ্যোগেও এদিন বস্ত্রদান কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল। এদিন আদিবাসী জনজাতির একটি পার্বনেও অংশ নেন মন্ত্রী।