নিজস্ব সংবাদদাতা: ট্রেনকে টেক্কা দিচ্ছে বেশ কিছু বিমান কোম্পানি। ভাড়া কমিয়ে ট্রেনের যাত্রী টানতে বেশ কিছুটা সফলও তারা। এবার যাত্রী ধরে রাখতে সেমি হাইস্পিড ট্রেন চালানোর প্রস্তুতি নিল রেলও। হাওড়া থেকে আপাততঃ 3 টি ট্রেন চলবে যা কিনা 4 ঘন্টায় পুরী, 14 ঘন্টায় মুম্বাই, 13ঘন্টায় চেন্নাই পৌঁছে দেবে আপনাকে। রেলমন্ত্রক ঠিক করেছে ঘন্টায় 160 কিলোমিটার বেগে এই সেমি হাই স্পিড ট্রেন চলবে দেশের 8 টি রুটে । তার মধ্যে 3টি রুটে ট্রেন চলবে হাওড়া থেকে।
রেল সূত্রে জানা গেছে হাওড়া থেকে মুম্বাইয়ের দূরত্ব 1965 কিলোমিটার । এই রুটে চলা দুরন্ত এক্সপ্রেস এই দূরত্ব অতিক্রম করতে বর্তমানে সময় নেয় 27 ঘন্টা যা কিনা সেমি হাইস্পিড ট্রেনে 13 ঘন্টা কমে যাবে। অর্থাৎ লাগবে 14 ঘন্টা। ঠিক তেমনই হাওড়া থেকে চেন্নাইয়ের দূরত্ব 1652 কিমি। এখন চেন্নাই মেলে এই পথ যেতে সময় লাগে 28 ঘন্টা। হাই স্পিড ট্রেন চললে সময় সাশ্রয় হবে 15 ঘন্টা। আর 502 কিলো মিটার হাওড়া পুরী দূরত্ব এখন যা শতাব্দী এক্সপ্রেসে সময় নেয় সাড়ে 7 ঘন্টা নেয় তা মাত্র 4 ঘন্টায় পৌঁছে যাওয়া যাবে। ভাবা যায়? এবার থেকে সাধের পুরী পৌঁছে যাওয়া দিনের 6 ভাগের 1 ভাগ সময়ে!
রেল সূত্রে জানা গেছে আরও ৫টি রুটে চলবে এই ট্রেন। যেমন দিল্লি-চেন্নাই, মুম্বাই-চেন্নাই, চেন্নাই-বেঙ্গালুরু, বেঙ্গালুরু-হায়দ্রাবাদ এবং চেন্নাই-হায়দ্রাবাদ। আর এর জন্য নতুন রেক বানানোর পাশ প্রতিটি রুটে তৈরি হচ্ছে ট্র্যাক ও বিশেষ সিগন্যালিং ব্যবস্থা। বদলানো হবে ওভার হেড বিদ্যুৎ পরিবহন ও সরবরাহ ব্যবস্থাও। গোটা ব্যবস্থা ঢেলে সাজানোর জন্য প্রস্তুতি নেওয়া শুরু হয়ে গেছে।
যেমন আপ-ডাউন রুটে ট্রেন প্রটেকশন ওয়ার্নিং সিস্টেম বা TPWS প্রতিস্থাপন করতে হবে। রুট পর্যবেক্ষন ও মেরামতির জন্য আধুনিক স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রযান কাজে লাগানো হবে। সিগন্যালিং ও টেলিকমুনিকেশান ব্যবস্থা সম্ভবতঃ জাতীয় রেডিও ফ্রিকোয়েন্সির সঙ্গে যুক্ত করা হতে পারে। এরফলে রেলস্টেশন থেকে রেল ডিভিশন হয়ে জোন এবং মন্ত্রক সমস্ত স্তরেই একটি অভিন্ন নেটওয়ার্ক ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার নজরদারি গড়ে উঠবে।
সব মিলিয়ে বাজেট পৌঁছাতে পারে 15 হাজার কোটি। এই ব্যবস্থা কার্যকরী করতে সিভিল লাইনের কাজ বাবদ রেল খরচ করবে 5.500কোটি টাকা। বিদ্যুৎ পরিকাঠামো গড়ে তোলার জন্য খরচ ধরা হয়েছে 5.300 কোটি টাকা। সিগন্যাল এবং টেলিকমিউনিকেশনে বরাদ্দ হয়েছে 2000 কোটি টাকা আর মেকানিক্যাল কাজে খরচ হবে 625 কোটি টাকা।আগামী 2 মাসের মধ্যেই তৈরি হবে প্রাথমিক সমীক্ষা রিপোর্ট পাঠাতে বলা হয়েছে রেলের সমস্ত জোনকে।