নিজস্ব সংবাদদাতা: বন্যায় সর্বসান্ত হয়েছেন মানুষ কিন্তু যাঁরা সর্বস্ব হারিয়েছেন তাঁদের আ্যকাউন্টে টাকা ঢোকেনি ঢুকেছে নেতাদের আ্যকাউন্টে। এমনই অভিযোগ তুলে এক তৃনমূল নেতাকে বেধড়ক পেটালো ক্ষুব্ধ জনতা। এমনকি তাঁকে পোষ্টে বেঁধে পেটানো হয়েছে বলে জানা গেছে।

শুক্রবার হরিশচন্দ্রপুর-১ নম্বর ব্লকের বরোই গ্ৰামপঞ্চায়েতের চোপালমোড় এলাকায় এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনা ছড়ায়। জানা গেছে গণধোলাই খাওয়া ওই তৃণমূল নেতার নাম কুণালকান্তি দাস। কুণালকান্তি আবার বরোই গ্রামপঞ্চায়েতেই এক তৃণমূল পঞ্চায়েতে সদস্যের পম্পা দাসের স্বামীও। অভিযোগ, ২০১৭ সালে ত্রাণ বণ্টনের একটি অভিযোগ উঠেছিল গ্রামপঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে। সেখানে টাকা আত্মসাতে নাম জড়ায় কুণালকান্তিরও। ঘটনার রেশ গড়িয়েছে আদালত অবধি। আদালত বিষয়টি নিয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে পুলিশকে। পুলিশ সেই কাজ শুরু করেছে। বিভিন্ন সময়ে ডেকে পাঠানো হচ্ছে সম্ভাব্য অভিযুক্তদের।
এলাকার মানুষের অভিযোগ, ওখানকার এক তৃনমূল পঞ্চায়েত সদস্যের স্বামী তথা তৃনমূল নেতা কুনালকান্তি একেক ব্যক্তির নামে একাধিক ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলে টাকা আত্মসাৎ করেছেন । মানুষের আরও অভিযোগ এই কুনালকান্তির বিরুদ্ধে পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছেনা উল্টে যাঁরা নির্দোষ তাঁদেরই হয়রানি করেছে। শুক্রবার কুণালকে রাস্তায় পেয়ে তাঁকে আটকায় এলাকার লোকজন। টানা হেঁচড়ার পর চলে চড় থাপ্পড়। এরপর একটি পোষ্টে বেঁধে ফেলা হয় তাঁকে। ঘিরে ধরে শুরু হয় গণপ্রহার। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় হরিশচন্দ্রপুর থানার পুলিশ। এদিকে পুলিশ শাসকদলের হয়ে ওকালতি করছে, এমন অভিযোগ তুলে পুলিশের সঙ্গেও বচসায় জড়িয়ে পড়েন স্থানীয়রা।
এ প্রসঙ্গে হরিশচন্দ্রপুর দক্ষিণের মণ্ডল সভাপতি রূপেশ আগরওয়াল বলেন, “বরোই ২৮ নম্বর বুথের গ্রামপঞ্চায়েত সদস্য পম্পা। ওনার কর্তাকে জন সাধারণ ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। শুনলাম নাকি মারধরও করেছে। ২০১৭ সালে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের টাকা ভুয়ো অ্যাকাউন্টে নিয়ে রেখেছেন। অথচ যারা ক্ষতির মুখে পড়েছেন, সর্বস্ব হারিয়েছেন, তাঁরা কিছুই পাননি। একটা অ্যাকাউন্টে বার বার টাকা ঢুকছে, তা নিয়ে পঞ্চায়েত আধিকারিকদের কেন কোনও প্রশ্ন এলো না মনে?” বিজেপি নেতার দাবি, এখন তৃণমূল অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে হাত ঝেড়ে ফেলতে চাইলে তা তো হবে না! প্রশাসন, বিডিওকে এই ঘটনার যথাযথ তদন্ত করতে হবে। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে নিয়ম মাফিক তদন্ত চলছে, কাউকেই হেনস্থা করা হয়নি। আইন রক্ষার জন্যই প্রহৃতকে উদ্ধার করেছেন তাঁরা।