নিজস্ব সংবাদদাতা: বেহাল রাজ্য সড়ক মেরামতির দাবিতে স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে পথ অবরোধে সামিল হল স্কুল পড়ুয়ারাও। হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে বেশ কিছু পড়ুয়াকে স্কুলের ইউনিফর্ম পরেই বিক্ষোভে সামিল হতে দেখা গিয়েছে। বুধবার এমনই দৃশ্য দেখা গেল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা ২ ব্লকের বসনছোড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের সিমলা গ্রামে পলাশচাবড়ী-শ্রীনগর সড়কে।

এদিন সকালে সিমলা সহ বেশকয়েকটি গ্রামের বাসিন্দা ও স্কুল পড়ুয়ারা মিলে ওই সড়কের উপর বসে পথঅবরোধ শুরু করে। অবরোধকারীদের অভিযোগ,চন্দ্রকোনা থেকে পলাশচাবড়ী ভায়া শ্রীনগর হয়ে এই সড়কটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন হাজার হাজার গাড়ি যাতায়াত করে এই রাস্তা দিয়েই। লক্ষ মানুষের দৈনিক যাতায়াতের পথ এটাই। বাস,ট্রাক সহ একাধিক স্কুলের পড়ুয়া যাতায়াত করে এই সড়কের উপর দিয়ে। অথচ রাস্তাটির বেহাল দশা নিয়ে উদাসীন প্রশাসন।
মানুষের অভিযোগ দীর্ঘ দিন ধরে খানা খন্দে বেহাল অবস্থায় পড়ে রয়েছে এই বাইপাস রাস্তাটি,যার জেরে যাতায়াতে চরম হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে স্কুল পড়ুয়া থেকে এলাকাবাসী ও পথচলতি মানুষদের।এর আগে এই বেহাল সড়কের জেরে একাধিক বার দূর্ঘটনাও ঘটেছে এবং বেশ কয়েকজনের প্রাণ গেছে।তা সত্বেও হুঁশ নেই প্রশাসনের। বিক্ষোভকারীরা বলেছেন, বারবার প্রশাসনকে জানানো সত্ত্বেও কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। নিত্যদিনের দুর্ভোগ বাড়ছেই। বাধ্য হয়েই আজ অবরোধে সামিল হয়েছেন তাঁরা।
বেহাল এই রাস্তা দ্রুত সারাইয়ের দাবিতে স্থানীয় জনতার সঙ্গে সামিল হতে দেখা যায় পড়ুয়াদেরও। তাদের দাবি এতদিন স্কুল বন্ধ থাকায় তাদের হয়ত সেই ভাবে যাতায়াত করতে হয়নি কিন্তু স্কুল খুলে যাওয়ার পর প্রতিদিনের যাতায়াতে কারও না কারও দুর্ঘটনা অবশ্যম্ভাবী যদি না অবিলম্বে রাস্তা সারানো হয়। বুধবার সকালে তাই হাতে প্লাকার্ড নিয়ে রাস্তায় বসে পথ অবরোধে এলাকাবাসীর সাথে সামিল হয় পড়ুয়ারাও। বন্ধ হয়ে পড়ে ওই রুটের যানচলাচল। দীর্ঘক্ষন অবরোধের পর ঘটনাস্থলে আসেন চন্দ্রকোনা থানার পুলিশ আধিকারিকরা এবং বিডিও অমিত ঘোষ ।পুলিশ ও বিডিওর প্রতিশ্রুতি দেন যে বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখা হবে। এরপরই অবরোধ তুলে নেয় পড়ুয়া ও এলাকাবাসী। তারপরই ফের যান চলাচল শুরু হয়।