নিজস্ব সংবাদদাতা: নিয়ন্ত্রণ বিহীন পুলিশ গাড়ির ধাক্কায় গুরুতর জখম হলেন ২ সান্ধ্যভ্ৰমনকারী বৃদ্ধ। ইন্দা বামুনপাড়ার রক্তাক্ত দুই বৃদ্ধকে খড়গপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশের ওই ভ্যান একটি অটোরিক্সা ও বাইককেও ধাক্কা মারে বলে একটি অসমর্থিত সূত্র মারফৎ খবর পাওয়া গেছে।

ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ খড়গপুর শহরের পুরানো বাজার এলাকায় হাতিগোলা পুল সংলগ্ন এলাকায়। ঘটনার পরই তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। উত্তেজিত জনতা মারধর করে ওই পুলিশ গাড়ির চালককে। সেও আহত হয়েছে বলে জানা গেছে যদিও তার আঘাত ততটা গুরুতর নয় বলেই প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে।
আহত দুই ব্যক্তির নাম সুরেশ গোপ ও সীতারাম সবিতা। একজনের বয়স ৬২, অন্যজনের ৬৫ বছরের গায়ে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন ঘটনাটি ঘটেছে সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ। ইন্দার দিক থেকে দক্ষিণে হাতিগোলা পোল পেরিয়ে কালী মন্দিরের পর বাঁ দিকে যে প্রথম চায়ের দোকান রয়েছে। সেখানেই
চা খেয়ে উঠে যখন হাঁটা শুরু করেন ওই দুই বৃদ্ধ তখুনি সরাসরি তাঁদের ওপর কার্যত আছড়ে পড়ে ভালো গতিতে আসা ওই পুলিশ গাড়িটি। গাড়ির ধাক্কায় ছিটকে পড়েন ২জন। একজনের বুকে জোরালো আঘাত লেগেছে। দুজনেরই শরীরের বিভিন্ন জায়গা কেটে ছিঁড়ে গিয়েছে। এরই সাথে পুলিশের ওই গাড়িটি একটি অটো রিকশা ও বাইককেও ধাক্কা মারে বলে তাঁরা জানান।
ঘটনার পরই উত্তেজিত জনতা ওই পুলিশ গাড়ির চালককে মারধর করে বলে জানা গেছে। চড় থাপ্পড় কিল ঘুঁষি মারা হয়। খবর পেয়েই ছুটে আসে খড়গপুর টাউন থানার পুলিশ। দুই বৃদ্ধকে উদ্ধার করে নিয়ে ওই পুলিশ গাড়িতেই তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয় খড়গপুর মহকুমা হাসপাতালে। বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন তাঁরা। প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য ওই দুই বৃদ্ধ রাস্তার কিনারা দিয়েই হাঁটছিলেন। নিয়ন্ত্রণবিহীন পুলিশের গাড়ির চালক রাস্তার ওই অংশে থাকা বাঁক নিয়ে সরাসরি ধাক্কা মারে দুই বৃদ্ধকে। তারপর একটি বাইককেও ধাক্কা মারে। ধাক্কা লাগে একটি অটোতেও। অত্যন্ত জোরে গাড়িটি থাকায় চালক নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেনি।
পুলিশের দাবি, কোনও যান্ত্রিক গোলযোগের কারনে এই ঘটনা হয়ে থাকতে পারে। চালকের দাবি, হঠাৎই তাঁর চোখে সবকিছু ঝাপসা হয়ে যায়। তাছাড়া ঠিক বাঁক নেওয়ার মুখেই ওই দোকানগুলির জন্য রাস্তার ওই অংশে ভিড় হয় বলে জানা গেছে। যদিও স্থানীয়রা এই যুক্তি মানতে পারেনি। তাঁদের মতে চালকের অমনোযোগিতা আর গাড়ির গতিবেগ বেশি থাকতেই এই ঘটনা। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করার পাশাপাশি যারা চালককে মারধর করেছিল তাঁদেরও খুঁজছে।