নিজস্ব সংবাদদাতা: দীর্ঘ ১৮ মাস পরে ক্যাম্পাস খোলায় উচ্ছসিত হওয়ার কথা ছিল খড়গপুরের হিজলী কলেজের পড়ুয়াদের। বাংলার আর পাঁচটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মতই খুলতে পারত কলেজ কিন্তু পরিস্থিতি হল ঠিক উল্টোটাই। কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে একরাশ গাফিলতির অভিযোগে কলেজ অধ্যক্ষকে ঘেরাও করে রাখলেন পড়ুয়া এবং অভিভাবকরা।

উল্লেখ্য প্রায় ১৮ মাস করোনা পরিস্থিতির কারণে রাজ্যের অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মতই হিজল কলেজে পঠনপাঠন বন্ধ ছিল। ১৬ই নভেম্বর সেই পঠনপাঠন শুরুর দিন স্বাভাবিক ভাবেই দারুন উচ্ছাস নিয়েই এদিন পড়ুয়ারা হাজির হয়েছিল কলেজে। সঙ্গে নতুন বর্ষের পড়ুয়াদের অভিভাবকরাও ছিলেন। যদিও পড়ুয়াদের উচ্ছাস ক্ষোভে পরিণত হতে খুব দেরী হলনা যখন পড়ুয়াদের নজরে পড়ে পানীয় জলের কোনও সুষ্ঠু ব্যবস্থা নেই। শৌচাগারগুলি নোংরা রয়েছে। পড়ুয়াদের সমর্থনে এগিয়ে আসে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের হিজলী কলেজ ইউনিট কমিটি।
তৃণমূল ছাত্র পরিষদের হিজলী কলেজ ইউনিটের সম্পাদক অতনু চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন ” দীর্ঘ প্রায় ২ বছর ধরে দাবি জানানো হচ্ছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত জলের কোনও সুষ্ঠু ব্যবস্থা করা হয় নি। কলেজে কোনও রঙ করা হয় নি। শৌচাগারগুলি নোংরা। এমনকি কলেজের ভেতরে ও বাইরে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হবে বলেও লাগানো হয় নি। আমরা এইসব দাবি পূরণের জন্য অধ্যক্ষকে ঘেরাও করেছি।”
অধ্যক্ষ আশীস কুমার দন্ডপাত বলেছেন ” আমরা সর্বান্তকরণে চেষ্টা করেছি কোভিড বিধি মেনে সঠিকভাবে কলেজ খোলার ব্যবস্থা করেছি। পড়ুয়ারা কয়েকটি বিষয়ে দাবি রেখেছে। আমরা যতটা সম্ভব তাড়াতাড়ি দাবিগুলি পূরণের চেষ্টা করব।” এদিকে জানা গিয়েছে এইদিন সন্ধ্যায় অধ্যক্ষ কলেজ পরিচালনা সমিতির একটি বৈঠক করেন। সেখানে ছাত্র প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। অধ্যক্ষ আশ্বাস দিয়েছেন বুধবার থেকে কাজ শুরু করবেন।
অন্যদিকে এদিনই মিড ডে মিল নিয়ে বেনিয়মে অভিযুক্ত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে কোনও শাস্তি না দিয়ে বদলী করার প্রতিবাদে এইদিন পড়ুয়া ও অভিভাবকদের বিক্ষোভ হয় নারায়ণগড় থানার বেলটি গিরিবালা উচ্চ বিদ্যালয়ে। ফলে সমস্ত উদ্যোগ নেওয়ার পরেও বিদ্যালয় চালু করা যায় নি। এই ব্যাপারে নারায়ণগড় পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ অনাদি বারিক জানিয়েছেন বিদ্যালয় চালু করার জন্য সমস্ত রকমের উদ্যোগ নেওয়া হবে। আর বুধবার বিষয়টি নিয়ে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের সাথে আলোচনা করা হবে।