শশাঙ্ক প্রধান: বিদ্যালয়ের মধ্যেই এক নাবালিকা ছাত্রীর শ্লীলতাহানি করে গ্রেফতার হলেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। গোটা ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের ওই গ্রাম। গ্রামবাসীদের ক্ষোভের মুখ থেকে ওই শিক্ষককে উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, করোনাকাল কাটিয়ে রাজ্যের অন্যান্য প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতই গত বুধবার থেকে ডাংরা প্রাথমিক বিদ্যালয় খুলেছে। এই বিদ্যালয়টি পঞ্চম শ্রেণী অবধি পঠনপাঠন শুরু হয়েছে বেশ কিছুদিন হল। এক শিক্ষিকা সহ মোট ৪ জন শিক্ষক রয়েছেন ওই বিদ্যালয়ে। তাঁরা নিজেদের
দায়িত্ব অনুযায়ী ক্লাস নিচ্ছিলেন অন্যান্য শ্রেণীর। প্রধান শিক্ষক ছিলেন স্টাফরুমে। সেখানেই তিনি ডেকে পাঠান পঞ্চম শ্রেণীর ওই নাবালিকাকে। স্থানীয় এক ব্যক্তি জানিয়েছেন, ‘দু’চার কথা বলার পরই ছাত্রীর গায়ে হাত দিতে শুরু করেন। প্রথম প্রথম মেয়েটি তেমন বুঝতে পারেনি কিন্তু তারপরই ওই নাবালিকার একটি বিশেষ অঙ্গে চাপ দিতেই যন্ত্রনায় চিৎকার করে ওঠে মেয়েটি। কাঁদতে শুরু করে নাবালিকা। সঙ্গে সঙ্গে অন্যান্য ক্লাসের ছেলেমেয়েরা ছুটে আসে। মুহূর্তের মধ্যে সেই খবর গ্রামে রটে যেতেই গ্রামবাসীরা চলে আসে বিদ্যালয়ে। শুরু হয় বিক্ষোভ।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ কীর্তিমান প্রধান শিক্ষকের এই ঘটনা এই প্রথম নয়। করোনাকালের আগে অর্থাৎ ২ বছর পূর্বেও ঠিক একই ঘটনা ঘটিয়েছিলেন শম্ভুনাথ প্রধান। সেবার চতুর্থশ্রেণীর একছাত্রীর শ্লীলতাহানী করেছিলেন তিনি। সেবার অভিযোগ গিয়েছিল স্কুল শিক্ষা দপ্তরেও। শিক্ষাদপ্তর তাঁকে সাসপেন্ড করে। পরে আদালতে গিয়ে সেই সাসপেনশন থেকে নিজেকে মুক্ত করে ফের কাজে যোগ দেন। বকেয়া টাকা পয়সাও আদায় করে নেন শিক্ষাদপ্তর থেকে। মঙ্গলবার এই ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা সেই প্রসঙ্গও তুলে আনেন। কেউ দাবি করেন ওই শিক্ষকের ফাঁসির আবার কারও দাবি জেলে পচিয়ে পচিয়ে মারা হোক। খবর পেয়ে পুলিশ এসে জনরোষ থেকে উদ্ধার করে গ্রেফতার করে নিয়ে যায় ওই প্রধান শিক্ষককে। ওই শিক্ষকের স্ত্রী সন্তান রয়েছে।