নিজস্ব সংবাদদাতা: এক নাবালিকা সহ আদিবাসী পরিবারকে।ঘরছাড়া করার অভিযোগ উঠল বিজেপি এবং তৃনমূল নেতাদের বিরুদ্ধে। পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনী থানার বাটশোল গ্রামের ঘটনায় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখালেন আদিবাসী সংগঠনের প্রতিনিধিরা।

অধিকার মঞ্চের সদস্যরা জানিয়েছেন, গত ২১শে জানুয়ারি শালবনী থানার দেবগ্রাম গ্রামপঞ্চায়েত এলাকার বাটশোল গ্রামের পশুপতি হেমব্রম ও তার স্রী পূর্নিমা এবংমেয়ে পুষ্পিতাকে সালিশি সভার নাম করে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে এসে প্রচন্ড মারধর করা হয়। অচৈতন্য অবস্থায় শীতে রাতে ফাঁকা স্থানে ফেলে রাখা হয় পরিবারটিকে। তাঁদের বাড়িতেও তালা লাগিয়ে দেওয়া বলেও অভিযোগ। আক্রমণকারীরা। খবর পেয়ে ভোরবেলা হেমব্রম পরিবারের আত্মীরা ওই তিনজনকে উদ্ধার করে পীড়াকাটা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করে। তারপরই পীড়াকাটা পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ দায়ের করেন পশুপতি হেমরম।
অভিযোগ আরও যে পশুপতির স্ত্রীকে ডাইনি অপবাদ দিয়ে ১লক্ষ ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পশুপতির অভিযোগ তাঁর পাট্টা পাওয়া জমি বন্ধক দিতে বাধ্য করানো হয় যার বিনিময়ে ৪০ হাজার টাকা অভিযুক্তদের তুলে দেওয়ার পরও রেহাই মিলেনি। বকেয়া ৭০ হাজার টাকা দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হতে থাকে। সেই টাকা না দিতে পারায় বসত বাড়ী ও সেই জায়গা দখল নিতে প্রচন্ড মারধর করা হয় পরিবারটিকে।
ঘটনার এতদিন পেরিয়ে যাওয়ার পরও পুলিশ প্রসাশন কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। এরপরই মঙ্গলবার আদিবাসী অধিকার মঞ্চের জেলা সম্পাদক সহ এলাকার কর্মীর পীড়াকাটা পুলিশ ফাঁড়ি দপ্তরে গিয়ে বিক্ষোভ সহ দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুসারে ব্যাবস্থা গ্রহনের দাবীতে সরব হয়। এদিন আদিবাসী অধিকার মঞ্চর কর্মীরা ওই গ্রামে গিয়ে আক্রান্ত পরিবারের বসত বাড়ীর লাগিয়ে দেওয়া তালা ভেঙে আক্রান্ত পরিবারকে বাড়িতে প্রবেশ করিয়েও দিয়ে আসেন তাঁরা পৌঁছে ।
এরপর স্থানীয় প্রতিবেশীদের সাথে কথা বলেন এমন পরিবারের উপর আক্রমণ কারীদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সামিল হওয়ার আহ্বান জানান মঞ্চের সম্পাদক জিতেন মান্ডি। উল্লেখ্য এই ঘটনায় স্থানীয় বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্য শংকর মুর্মু এবং তৃণমূলের দুই নেতা কোম্পানি মুর্মু ও সুশীল মুর্মু সহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে বলে জানা গেছে। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে।