নিজস্ব সংবাদদাতা: সাত সকালে পথ দুর্ঘটনায় এক হনুমানের মৃত্যুর ঘটনায় শোকাহত এমনই ঘটনা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটালের অজবনগরের বাসিন্দারা। আহত হনুমানটিকে বাঁচানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হওয়ার পর হিন্দু প্রথা মেনে বৈদিক রীতিতে সৎকারের পর পুরোহিত ডেকে রীতিমতো শ্রাদ্ধ করা হল।

এরপরই অজবনগর গ্রামের বাসিন্দারা সিদ্ধান্ত নেন ওই হনুমানের হিন্দু রীতিনীতি মেনেই সৎকার করা হবে। সেই জন্য ডাকা হয় পুরোহিতকে। গ্রামবাসীরা সৎকারের জন্য অর্থ জোগাড় করতে শুরু করেন। স্থানীয় পুরোহিত সঞ্জয় রায় জানিয়েছেন, ‘ যেহেতু ঘটনাটি আমাদের গ্রামের এলাকায় হয়েছে তাই ওই রামভক্তের সৎগতি পাওয়ানো আমাদের দায়িত্বের মধ্যেই পড়ে। তাই আমি দাঁড়িয়ে থেকে ওই রামভক্তের যাবতীয় ক্রিয়াকান্ড করেছি।’
গ্রামের মানুষরা জানিয়েছেন ওই মৃত হনুমানের স্মৃতিতে তাঁরা একটি মন্দির নির্মাণের পরিকল্পনা করেছেন। আর সেই জন্য তাঁরা চাঁদা সংগ্ৰহ করতে শুরু করেছেন। তাঁদের আরও বক্তব্য, হনুমান শ্রীরাম দেবতার রূপ এবং শক্তি ও সমৃদ্ধির প্রতীক। তাই তার আরাধনার জন্য ওই মন্দির নির্মাণ করা হবে।
এদিকে শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠানের মূল হোতা গ্রামেরই এক ব্যক্তি গুণধর ঘটক রীতিমত নাপিত ডাকিয়ে নিজের মাথা মুড়িয়ে শ্রাদ্ধশান্তি করেছেন হনুমানটিকে সমাধিস্ত করার পর। গুণধর বলেন, শ্রীরামের কৃপাধন্য হনুমান। তার আত্মার সদগতির জন্যই তিনি একজন সন্তান স্বরূপ এই পারলৌকিক ক্রিয়া করেছেন।
তিনি জানিয়েছেন, এরপর তাঁর কাজ হল ওই হনুমানের একটি স্মৃতি মন্দির স্থাপন করা। গুণধর আরও বলেন, এই অঞ্চলে মাঝে মধ্যেই হনুমানের দল আসে। রাজ্যসড়ক পেরুতে গিয়ে যাতে তারা দুর্ঘটনার কবলে না পড়ে তাই তিনি এবার থেকে রাস্তায় স্বেচ্ছায় নজরদারিও করবেন।