নিজস্ব সংবাদদাতা: শৈশব ও কৈশোরের দেহমন সংগঠনে অভূতপূর্ব ভূমিকা নিয়ে চলেছে রামকৃষ্ণ মিশন। মিশনের লোকশিক্ষা পরিষদের উদ্যোগে রাজ্য জুড়ে বিভিন্ন স্বনির্ভর কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি এলাকার শিশু ও কিশোরদের মানসিক ও শারীরিক ভাবে পুষ্ট করার নিরন্তর প্রয়াস চলছে।

পশ্চিম মেদিনীপুর জুড়ে স্বনির্ভর প্রকল্প সংগঠক গুলির সমবেত প্রয়াসে শিশুকিশোরদের এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছিল যেখানে অংশ নিয়েছিল ডেবরা থানা এলাকার কংসাবতী গুচ্ছসমিতি, মেদিনীপুরের সারদাময়ী উন্নয়ন পরিষদ, সবং পল্লীমঙ্গল গুচ্ছ সমিতি, বেলদা সৌর্য্যপ্রভ গুচ্ছ সমিতি এবং কেশপুরের শহিদ ক্ষুদিরাম সেবা সমিতি। এই সমিতিগুলির আওতাধীন ক্লাবগুলির মারফৎ ওই সমস্ত এলাকায় রামকৃষ্ণ মিশন লোকশিক্ষা পরিষদ শিশু ও কিশোর কিশোরীদের যে সমস্ত শরীর শিক্ষন প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকেন তারই একঝলক এদিন প্রদর্শিত হল নারায়নগড়ের মকরামপুরে। এই কর্মসূচি বাস্তবায়নের দায়িত্ব অর্পিত হয়েছিল মকরামপুর নবোদয় সংঘের ওপর। যারা খুবই সুচারুভাবেই এই সমাবেশটি সফল করে তুলেছেন।
ব্রতচারী, নৃত্য, ছন্দগীতি, রীবন ড্রিল, চলমান বাহিনীর কুচকাওয়াজ, বাউল ও ভাটিয়ালি গানের পাশাপাশি এদিন শিশু কিশোর কিশোরী প্রদর্শন করেছেন তামিলনাড়ুর লোক নৃত্য এবং পাঞ্জাবী লোকনৃত্য। বিভিন্ন গুচ্ছের তরফে এদিন একাধিক সুসজ্জিত ট্যাবলো চোখ জুড়িয়ে দিয়েছে উপস্থিত দর্শকদের। খুদে কিশোরদের খালি হাতে ব্যায়াম, যোগ ব্যায়াম, মানব পিরামিড তাক লাগিয়েছে উপস্থিত সব্বাইকে। মোট ৩টি অভী পর্বে সাজানো হয়েছিল এই অনুষ্ঠানকে। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেছেন মিশনের সম্পাদক শ্রীমৎ স্বামী সর্বলোকানন্দজী মহারাজ। ছিলেন মিশনের চলমান বাহিনীর সংযোজক মিহির কুমার বসু। এদিনের অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাতো, সমাজসেবী সুজয় হাজরা, বিধায়ক সূর্যকান্ত অট্ট, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের দুই কর্মাধ্যক্ষ নির্মল ঘোষ ওপ্রতিভা মাইতি এবং সমাজসেবী মিহির চন্দ।