নিজস্ব সংবাদদাতা: বুধবারের পর বৃহস্পতিবারও গোমরা মুখ সূর্যের। বুধবার সারাদিন দেখা মেলেনি সূর্যদেবের, বৃহস্পতিবারও সকাল ৯ টা অবধি ঘন কুয়াশায় ঢেকে রয়েছে দুই শহর এবং আশেপাশের এলাকা। যদিও বুধবারের চাইতে বৃহস্পতিবার সামান্য আভা দেখার পাওয়া গেছে। কিন্তু আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাসে দেওয়া হয়েছে খারাপ খবর কারন ওই পূর্বাভাসে বলা হয়েছে রবিবার অবধি আবহাওয়া এমনই প্রতিকূল থাকতে পারে। বুধবার ভোরে মৃদু বৃষ্টিপাত হয়েছে খড়গপু্র শহরের কিছু অংশে।
দুই মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার উপকূলবর্তী এলাকার পাশাপাশি, উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং এবং কালিম্পঙের পার্বত্য এলাকাতে হালকা বৃষ্টি হতে পারে। উত্তরবঙ্গে ঘন কুয়াশা থাকবে বলেও পূর্বাভাস আবহাওয়া দফতরের। রাজ্যের অন্য জেলাগুলিতে বৃষ্টি না হলেও আকাশ আংশিক মেঘলা থাকবে।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তা সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন যে, বঙ্গোপসাগরে বিপরীত ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে। তার জেরে তৈরি হয়েছে জলীয় বাষ্প। এর ফলে হালকা বর্ষণের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গের কয়েকটি এলাকায়। বুধবার খড়গপু্র মেদিনীপুরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিক তাপমাত্রার চেয়ে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। মঙ্গলবার কলকাতার এই সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩.১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
মকর সংক্রান্তির আগেও খড়গপু্র মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম এবং তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় তাপমাত্রার পারদ ছিল ঊর্ধ্বমুখী। কিন্তু মঙ্গলবার থেকে তাপমাত্রা কিছুটা নিম্নমুখী হয়েছে। আলিপুর আবহাওয়া অফিস সূত্রের খবর, বুধবার দিনভর ঠান্ডায় কেঁপেছ খড়গপু্র মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম সহ জঙ্গলমহল। সেই তুলনায় বৃহস্পতিবার কিছুটা হলেও আবহাওয়ায় তাপমাত্রা বাড়ায় স্বস্তি পাওয়া গেছে। বঙ্গোপসাগরে বিপরীত ঘূর্ণাবর্ত দাপট বেড়ে যাওয়ায় তাপমাত্রার পারদ উপরের দিকে চড়ছে। তবে আগামী ২৪ ঘন্টা পর তাপমাত্রা ধীরে ধীরে কমতে থাকায় শীতের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু হতে পারে বলে অনুমান হাওয়া অফিসের।