নিজস্ব সংবাদদাতা: অবশেষে গ্রেফতার হল শুক্রবার রাতে গোলবাজার ব্রিজের ওপর এক জোম্যাটো বয়ের মোবাইল ছিনতাইয়ের মূল অভিযুক্ত রাহুল শর্মা ওরফে শের খান (২০)। শনিবার গভীর রাতে খড়গপুর শহরের মালঞ্চ এলাকার একটি বন্ধ হয়ে থাকা কারখানার কাছের গোপন ডেরা থেকে খড়গপুর শহর পুলিশ ওই দুষ্কৃতীকে গ্ৰেফতার করেছে বলে জানা গেছে।

পুলিশ জানিয়েছে রাহুল অপরাধ জগতে শের খান বলেই পরিচিত। খড়গপুর শহরে চুরি ছিনতাই থেকে মাদক কারবারের পাশাপাশি বেআইনি অস্ত্র রাখার অভিযোগে অভিযুক্ত এই শের খানকে বিশেষ সূত্র মারফৎ খবর পেয়েই গ্রেফতার করা হয়েছে।
খড়গপুর পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের ভগবানপুর এলাকার বাসিন্দা শের খানের কাছ থেকে পুলিশ তার কাছ থেকে এক লিটার মাদক তৈরির উপাদানও বাজেয়াপ্ত করেছে। ধৃতের বিরুদ্ধে এনডিপিএস আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ধৃতকে রবিবার জেলা আদালতে হাজির করা হয়েছে। শুক্রবার রাত পৌনে দশটা নাগাদ খড়গপুর শহরের গোলবাজার ওভারব্রিজের ওপরে অবিনাশ সোনকার নামে এক জোম্যাটো বয়ের কাছ থেকে একটি মোবাইল ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। ওই সময়ে স্যামুয়েল নামক যুবক নিজের বাইক চালিয়ে ছিনতাইবাজদের ধাওয়া করে ১৬ বছরের এক নাবালককে ধরে ফেলে। তাকেই জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ শের খান সহ আরও একজনের নাম জানতে পেরেছিল।
পুলিশ জানতে পারে ওই ১৬ বছরের নাবালক তার বাবার স্কুটি নিয়ে সন্ধ্যাবেলায় বেড়াতে বেরিয়েছিল।শের খান ও তার আরেক সহযোগী ওই নাবালককে গোলবাজার বেড়াতে যাওয়ার নাম করে স্কুটিতে চেপে বসে। পুলিশকে ওই নাবালক জানিয়েছে ছিনতাইয়ের বিষয়টি সে জানতইনা। এলাকার পরিচিত দাদা হিসাবেই সে ওই দুজনের অনুরোধে সে ওদের স্কুটি চাপিয়ে গোলবাজারের দিকে বেড়াতে গিয়েছিল। তারপরই ওই ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। ওই নাবালক পুলিশকে আরও জানায় যে জোম্যাটো বয়ের মোবাইল ছিনতাই করেছিল এই শের খানই। সেই মোবাইল উদ্ধার হয়েছে শের খানের কাছ থেকে। তবে এই সব কিছুই সম্ভব হয়েছে সেদিনের সেই সাহসী যুবক স্যমুয়েলের জন্যই। স্যামুয়েল সেদিন তাড়া করে একজনকে ধরে ফেলতে না পারলে এই রহস্য উদঘাটন হতনা। যে কারনে স্যামুয়েলের সাহসিকতাকে পুরস্কৃত করেছে পুলিশ।