নিজস্ব সংবাদদাতা: কয়েক মাসের মধ্যে ফের কলেজ ফি মুকুব ও অতিরিক্ত ফি নেওয়ার প্রতিবাদে ঘাটাল-পাঁশকুড়া রাজ্য সড়ক অবরোধ করলেন কয়েকশ পড়ুয়া। মঙ্গলবার বেলার সময় শুরু হওয়া এই অবরোধের জেরে অচল হয়ে পড়ে ওই রাজ্য সড়কে যান চলাচল।

পড়ুয়াদের অভিযোগ,দীর্ঘদিন করোনা আবহে বন্ধ ছিল কলেজ। দ্বিতীয় বর্ষের প্রথম ও দ্বিতীয় সেমিস্টারের পরীক্ষা দিতে হয়েছে ব্যক্তিগত কাগজ কিনে। অথচ কলেজ কর্তৃপক্ষ কলেজের লাইব্রেরী ফ্রী, বিদ্যুৎ বিল,পানীয় জলের বিল,ইউনিয়ন ফি সহ নানান ফি আদায় করছেন ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে। পড়ুয়ারা আরও অভিযোগ করে যে,তারা দীর্ঘদিন কলেজে না আসায় কলেজের কোন জিনিস তারা ব্যবহার করেননি তাই কি করে কলেজ কর্তৃপক্ষ তাদের কাছ থেকে এইসব নানান বিল আদায় করতে পারে।
শুধু তাই নয় ছাত্রদের অভিযোগ যে, কলেজের সেকেন্ড ইয়ারের থার্ড সেমিস্টারের ছাত্র ছাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত হাজার টাকা করে দাবি করা হচ্ছে।কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে টাকা জমা না দিলে তাদের রেজাল্ট আটকে দেওয়া হবে এমনই পড়ুয়াদের অভিযোগ।উত্তেজিত পড়ুয়ারা এই সব দাবি নিয়ে ফি মুকুবের দাবিতে এবং অতিরিক্ত ফি নেওয়ার প্রতিবাদে এদিন রাজ্য সড়কের উপর বসে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে।
এই পড়ুয়ারা সেকেন্ড ইয়ারের থার্ড সেমিস্টারের পাঠরত বলেই জানা গেছে । ছাত্র ছাত্রীদের বিক্ষোভের জেরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে ঘাটাল- পাঁশকুড়া রাজ্যসড়ক। এরফলে ওই রাজ্য সড়কে দুপাশের যান চলাচল থমকে যায় বেশ কয়েকঘন্টা। ঘাটাল থানার পুলিশ গিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের বুঝিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করে। উল্লেখ্য এর আগে করোনা কালেই আরও একবার পথ অবরোধে সামিল হয়েছিলেন পড়ুয়ারা।
সেবার পড়ুয়াদের অভিযোগ ছিল ছাত্রছাত্রীদের স্বার্থ বাদ দিয়ে বাদবাকি সমস্ত খরচ করছে কলেজ কর্তৃপক্ষ আর সেই খরচ চাপিয়ে দিচ্ছে পড়ুয়াদের ওপর। উদাহরণ হিসেবে তাঁরা বলেন সাংসদ দেব কলেজের সভাপতি হওয়ার পর কলেজের গেটে তাঁর ছবি লাগানোর খরচও পড়ুয়াদের বহন করতে হয়েছে। কলেজ কর্তৃপক্ষ অবশ্য জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম মেনেই সমস্ত ফিজ নেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি কর্তৃপক্ষ জানান, আমন্ত্রিত শিক্ষকদের সাম্মানিক সহ কিছু খরচ থাকে যা ক্লাস হোক আর নাই হোক কলেজকে বহন করতে হয়।