নিজস্ব সংবাদদাতা: গত ২দিন ধরে ক্লাসরুম খুলে স্বাভাবিক পঠন পাঠন শুরু করার দাবিতে পশ্চিম মেদিনীপুরের একের পর এক জায়গায় বিক্ষোভে ফেটে পড়েছেন পড়ুয়া থেকে অভিভাবক, শিক্ষক থেকে ছাত্র সংগঠনগুলি। কোথাও শ্লোগান উঠেছে, ‘চাইনা গুগল চাইনা জুম, ফেরৎ দাও ক্লাসরুম!’ আবার কোথাও দাবি উঠেছে, ‘খেলা মেলা অনেক হল, এবার আমাদের স্কুলটা খোল।’ আবার কেউ বা শ্লোগান তুলেছেন, ‘পাড়ায় পাড়ায় পড়ানো নয়, খুলতে হবে শিক্ষালয়।’

দাসপুরের সোনাখালিতে মিছিলের পর সড়ক রাস্তা অবরোধ করে চলে বিক্ষোভ সভা। যেখানে এগিয়ে আসতে দেখা গেছে সাধারণ মানুষকেও। বিশেষ করে পুলিশ অবরোধ তুলতে এলে স্থানীয় মানুষও প্রতিবাদে সরব হোন। বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, শীতের সময়ে সরকার ও নেতাদের পৃষ্ঠপোষকতায় যেখানে মেলা প্রাঙ্গনে হাজার হাজার মানুষের সমারোহে নাচ গানের অনুষ্ঠান দেদার চলছে। অথচ স্কুলের পঠন পাঠন বন্ধ রেখে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র সহ স্কুলের মিড ডে মিলের বরাদ্দ ডিম সোয়াবিন সবজি ভোজ্য তেল লুঠ করছে সরকার। দরিদ্র পড়ুয়াদের পুষ্টি আর ভবিষ্যৎ নিয়ে ছিনিবিনি খেলছে সরকার। এর প্রতিকার সহ অবিলম্বে সমস্ত ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান চালুর দাবীতে মিছিল ও পথ অবরোধ সহ বিক্ষোভ সভা চলে দীর্ঘক্ষন।
উল্লেখ্য শুক্রবারও এই একই দাবি নিয়ে জেলার বিভিন্ন ব্লক কার্যালয় অভিযানে সামিল হয়েছিলেন বিক্ষোভকারীরা। জেলার সোনামুই, ডেবরা সহ একাধিক ব্লকদপ্তরের সামনে বিক্ষোভ মিছিল, পথ অবরোধ ও ডেপুটেশন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল। যেখানে সামিল হতে দেখা যায় শিক্ষক ও পড়ুয়াদের পাশাপাশি অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদেরও। অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী সংগঠন, ভারতের ছাত্র ফেডারেশন, ভারতের গণতান্ত্রিক যুব ফেডারেশন, এবিটিএ, এবিপিটিএ এমন পাঁচটি সংগঠন। এদিন সর্ববৃহৎ জমায়েত হয়েছিল ডেবরা ব্লকের বালিচক কার্যালয়ে। বিশাল বিক্ষোভ মিছিল সহ ঘেরাও করা হয় ডেবরা ব্লক দপ্তর। উপস্থিত ছিলেন ছাত্র সংগঠনের জেলা সম্পাদক প্রসেনজিৎ মুদি, এবিটিএ জেলা সভাপতি বিকাশ পট্টনায়ক, এবিপিটিএ জেলা সম্পাদক ধ্রবশেখর মন্ডল, যুব সংগঠনের জেলা সম্পাদক সুমিত অধিকারী এবং অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী সমিতির জেলা সভানেত্রী ডালিয়া ভট্টাচার্য সহ নেতৃত্ব।