নিজস্ব সংবাদদাতা: যত দিন যাচ্ছে বদলে যাচ্ছে পরিস্থিতি। দেশের অভ্যন্তরীণ সন্ত্রাস তো আছেই সাথে সাথে সন্ত্রাসপথ খুলেছে জলপথেও। অবশ্য শুধুই সন্ত্রাসী নয় পাশাপাশি জলপথে চলছে মৎসজীবী সহ নৌকা হাইজ্যাক, বাণিজ্য জাহাজ লুট, বন্দর সুবিধাগুলিকে বিপর্যস্ত করার মত কাজও।

উপকূল বাহিনীর এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘সাগর কবচ( Sagar Kavach) নামক এই মহড়ার লক্ষ্য ছিল পশ্চিমবঙ্গের ১৫৮ কিলোমিটার উপকূলের সুরক্ষা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখা। যেকারনে হলদিয়াকে কেন্দ্র করে দু’দিন ব্যাপী এই ১৫৮ কিলোমিটার ব্যাপী মহড়া চালানো হয়েছে যার মূল উদ্দেশ্য ছিল পশ্চিমবঙ্গের ২টি প্রধান বন্দর কলকাতা ও হলদিয়ার সঙ্গে অন্যান্য নদী বন্দরকে সুরক্ষিত করা।’ ওই আধিকারিক আরও জানান, বাংলার উপকূলে প্রায় ১৬হাজার নৌকা বা ওই জাতীয় যান মাছ ধরার জন্য সমুদ্রে যায়। সাড়ে তিন লক্ষ মৎসজীবী এই পেশার ওপর নির্ভরশীল। ভারতীয় উপকূল রক্ষী বাহিনী ৪৩টি জায়গা থেকে এই বোট ও মৎসজীবীদের সুরক্ষার ওপর নজরদারি করে থাকে। এই প্রতিটি স্থানকেই মহড়ার আওতায় আনা হয়েছে।
দু’দিনের এই মহড়া চলেছে আকাশ, জল এবং স্থলপথে। স্বাভাবিক ভাবেই এয়ারক্র্যাফট, হুভারক্র্যাফট সহ উপকূল ও নৌবাহিনীর জাহাজ, জলপুলিশের স্পিডবোট সবই ব্যবহৃত হয়েছে এই মহড়ায়। তবে এ’বারের মহড়ায় সবচেয়ে আকর্ষণীয় ছিল প্যারাট্রুপারদের মহড়া। মাঝ সমুদ্রই হোক অথবা বন্দর, সন্ত্রাসী কিংবা জলদস্যুদের কব্জায় গেলে কিভাবে আকাশ পথে মোকাবিলা করা যায় তাই করে দেখালেন প্যারাট্রুপার বাহিনী। মুম্বাই হামলায় এই প্যারাট্রুপারই মুখ্য ভূমিকা নিয়েছিলেন। উপকূল বাহিনীর CG 860 চপার থেকে নেমে আসা সেই কমান্ডো বাহিনী দেখালেন তাঁদের কসরৎ।
এই মহড়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন জাতীয় সুরক্ষা বাহিনী বা NSG কমান্ডো ও BSF কমান্ডো বাহিনী। সমগ্র মহড়ার নিয়ন্ত্রক ও সংযোগকারী ভূমিকায় ছিলেন কমান্ডার কোস্টগার্ড এবং তট সুরক্ষা বাহিনীর ডিরেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ।