শশাঙ্ক প্রধান: ২৪ঘন্টা পের হয়নি এক সপুত্র গৃহবধূকে প্রেমিকের কাছ থেকে ফেরৎ এনেছে পুলিশ তারই মধ্যে খবর এসেছে আরেক গৃহবধূ নিজের ছেলেকে নিয়ে পালিয়েছে ঘরের জানলা ভেঙে। ঘটনাস্থল সেই পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলা থানা এলাকা। পুলিশ জানিয়েছে নিরুদ্দেশ হয়ে যাওয়া গৃহবধূর নাম পায়েল ভৌমিক।

ঘটনা পিংলা থানার করকাই গ্রাম পঞ্চায়েতের জগন্নাথপুর গ্রামের। সোমনাথ জানিয়েছেন, বছর চারেক আগে ডেবরা থানার মাড়োতলা এলাকার পায়েলের সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। তাঁদের আড়াই বছরের পুত্র সন্তান রয়েছে। তিনবছর ধরে হায়দ্রাবাদে রাজমিস্ত্রির পেশায় কর্মরত সে। মাঝেমধ্যে বাড়ি আসত। গত নভেম্বর মাসে পায়েল ছেলের জন্ম নথি আনার জন্য মাড়োতলা গিয়েছিল। ছিল ১৫দিন। ফিরে আসে নভেম্বর মাসের শেষে। এরপর ৯তারিখ রাত্রে পালায় সে। অবশ্য ঘটনাটি অপহরণের কিনা তাও দেখা হচ্ছে।
সোমনাথ জানিয়েছেন, মাস ছয়েক আগেও এক যুবকের সাথে পালিয়েছিল পায়েল। খোঁজ খবর করে কয়েকদিনের মধ্যে ফেরৎ আনা হয়। বাড়ির তরফে পায়েলকে কোনও মোবাইল ফোন কিনে দেওয়া না হলেও সে একটি মোবাইল ফোন লুকিয়ে ব্যবহার করত। সম্ভবতঃ তার প্রেমিকই পায়েলকে ফোনটি দিয়েছিল। সোমনাথের প্রতিবেশীরা তাকে জানিয়েছে ওইদিন রাতে একটি ছোট চারচাকার গাড়ি দেখা গিয়েছিল বাড়ির আশেপাশে। পায়েলের প্রেমিকই সেই গাড়ি নিয়ে এসে তাকে ও তার ছেলেকে নিয়ে গেছে কিনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
দরজা খুললে পাছে শব্দ হয় এই কারনে বাড়ির পেছনের দিকে বাঁশের জানলা ভেঙে সম্ভবতঃ পালিয়েছে ওই গৃহবধূ। খবর পেয়ে হায়দ্রাবাদ থেকে চলে আসে সোমনাথ। নিজের ফেসবুক পেজে স্ত্রী ও পুত্রের ছবি সহ একটি নিখোঁজ সংবাদও পোষ্ট করে সে। বলে, তাদের সন্ধান দিলে ৫হাজার পুরস্কার দেওয়া হবে। গরিব রাজমিস্ত্রির এরচেয়ে আর বেশি সম্বল কোথায়? দারুন দুশ্চিন্তায় রয়েছে গোটা পরিবার। উল্লেখ্য পাঁচদিন আগে পিংলা থানার দনীচক গ্রামীণ এলাকার বাসিন্দা সুদেষ্ণা মাইতি ৫বছরের ছেলেকে টিউশন পড়াতে গিয়ে নিখোঁজ হয়ে যান ছেলে সহ। তাঁর স্বামী গোপাল মাইতিও কর্মসূত্রে হাওড়াতে থাকেন। সুদেষ্ণা তাঁর বাবাকে জানায় অন্য একজনকে বিয়ে করেছে সে। যদিও পরে পুলিশ গড়বেতা থেকে নিয়ে আসে।