শশাঙ্ক প্রধান : ‘আমরা মনে করলাম যে একটা প্লেন ভেঙে পড়েছে। গোঁ গোঁ করে একটা প্রচন্ড আওয়াজ হল আর তারপরই একটা ঝড় বয়ে গেল আমাদের গ্রামের ওপর দিয়ে। তারপরই আলো চলে গেল। দুড়মুড় করে ভেঙে পড়ল বড় ইউক্যালিপটাস গাছটা!’ তখনও থরথর করে কাঁপছেন অগড়া গ্রামের অমিত পাল। মাত্র দেড় মিনিট!

স্থানীয় আরেক বাসিন্দা সুশান্ত পাল জানিয়েছেন, আমার বাড়িতে কয়েকজন এসেছিলেন কিছু জরুরী প্রয়োজনে। তাঁদের সঙ্গেই আলোচনা, কথাবার্তা বলেছিলাম। হঠাৎই সেই ঝড়টা ছুটে আসে। মুহূর্তের মধ্যেই সব যেন তছনছ হয়ে গেল। জাতীয় সড়ক থেকে অগড়া আসার যে রাস্তাটা রাইস মিল হয়ে এসেছে তার দু’পাশের সমস্ত গাছ পড়ে গেছে। গাছগুলোর বয়স ২০ থেকে ২৫বছর। মাটিতে থেকে উপড়ে পড়েছে এমনই ছিল ঝড়ের জোর।
খড়গপুর ২ ব্লকের বিডিও সন্দীপ মিশ্র জানিয়েছেন, ঝড়ে কিছু এলাকার ক্ষতি হয়েছে। পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হচ্ছে। এলাকাটি পিংলা বিধানসভার আওতাধীন। বিধায়ক অজিত মাইতি জানিয়েছেন, ‘খবর আসার পরই আমাদের স্থানীয় কর্মীরা এলাকায় সক্রিয় হয়েছেন। বিদ্যুৎ পরিষেবা বিপর্যস্ত হওয়ার কারনে একটু সমস্যা হচ্ছে। তবে সরকারের কর্মীরা ঘটনাস্থলে রয়েছেন। পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক করার চেষ্টা হচ্ছে।’
উল্লেখ্য খড়গপুর শহরে এদিন বিকাল সাড়ে চারটে নাগাদ ঝোড়ো হওয়ার সাথে বৃষ্টি শুরু হয়। খড়গপুর শহরের সাথে সাথে বৃষ্টি হয় মেদিনীপুর শহরেও। যে বৃষ্টি টানা চলেছে রাত ১০টা অবধি। দুই শহরের বিভিন্ন জায়গায় ফের নতুন করে জল জমতে শুরু করেছে। কিন্তু গ্রামীন খড়গপুরের কিছু অংশে বৃষ্টি শুরু হয়েছে কিছুটা পরেই। যারমধ্যে ছিল আগড়া বসন্তপুর সুলতানপুর। এরই মধ্যেই ওই এলাকায় টর্নেডো বয়ে যায়। আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী বৃষ্টি চলবে রবিবার অবধি। এরমধ্যে শনিবার ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে।