
নিজস্ব সংবাদদাতা: যেন শ্রাবনের ধারা পড়েই চলেছে অবিরাম। মাঝে কিছুক্ষণ যদিও বা থামে পরমুহূর্তেই আরও বৃষ্টি এসে ভাসিয়ে দিয়ে যায়। সোমবার রাত থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টির কোনো বিরাম নেই। খড়গপুর মেদিনীপুর দুই শহরের রাস্তাঘাট, নালা নর্দমা মিলে মিশে একাকার হয়ে গেছে।
প্রচন্ড বৃষ্টিতে রাস্তায় প্রায় লোকজন নেই। বাজার ঘাট প্রায় খাঁ খাঁ করছে। রাস্তায় যান বাহনের তেমন উপস্থিতি নেই বললেই চলে। নিতান্ত বাধ্য হয়ে যাদের বাইরে বেরুতে হয়েছে তাদের অবস্থা খুবই খারাপ। আকাশ ভাঙা বৃষ্টি তো আছেই তার সাথে রাস্তার নোংরা জল পা থেকে গোড়ালি অবধি ভিজিয়ে দিচ্ছে। দুই শহরের রাস্তার পাশে থাকা ডাস্টবিন থেকে ভেসে আসা আবর্জনা ভাসছে রাস্তায়।
শহরের নিচু এলাকাতো বটেই তার সাথে জল জমে রয়েছে শহরের প্রধান প্রধান রাস্তায়। খড়গপুরের ইন্দাতে লোকাল থানার গেটের সামনে গোড়ালি ছুঁয়ে যাচ্ছে জল। জল বইছে পুরানো বাজার আর ইন্দার সংযোগ স্থলে হাতিগলা পোলের সামনে। ঝাপেটাপুর হয়ে কৌশল্যা যাওয়ার রাস্তায় পুরসভার সামনেই জল উপচে পড়ছে রাস্তার ওপর দিয়ে।
ইন্দা বাজার যেন নরককুণ্ডে পরিণত হয়েছে। জলকাদা, পাঁক, ময়লা আবর্জনা মাড়িয়েই কোনও মতে সারতে হচ্ছে দিনের বাজার। একই অবস্থা গোলবাজার, গেটবাজার, খরিদাবাজার, কৌশল্যা বাজারের। দুর্গন্ধে ভরে রয়েছে বাজারের চারপাশ। তারই মধ্যে চলছে বেচা কেনা।
মেদিনীপুরের অবস্থাও তথৈবচঃ। জেলাশাসকের অফিসের সামনে গেটের সামনে জল জমে রয়েছে। বিদ্যাসাগর স্ট্যাচু থেকে জেলাপরিদ যাওয়ার রাস্তা কার্যত জলে ডুবে রয়েছে। একই অবস্থা নানুরচক থেকে বটতলা যাওয়ার রাস্তা। রাজাবাজার, কোতয়ালিবাজার, ছোটবাজার, বড়বাজারের রাস্তায় জায়গায় জায়গায় জল জমে রয়েছে।
ওদিকে ধর্মা লাগোয়া রামকৃষ্ণনগর, সুর্যনগর, সারদানগরের বিভিন্ন এলাকার রাস্তাঘাট জলে ডুবে আছে। পাটনাবাজার, নজরগঞ্জ, মহাতাপপুর, পালবাড়ি ইত্যাদি নিচু এলাকার রাস্তাঘাটও জলে ভরে রয়েছে।
এই দুই শহর ছাড়াও দুই মেদিনীপুরের বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে বৃষ্টি হয়েই চলেছে। ফলে গড়বেতা, চন্দ্রকোনা, ঘাটাল এলাকায় সবজি ও ফুল চাষের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। সবংয়ে বেশকিছু পানের বরোজ ও মাদুরকাঠির ক্ষতির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে আজ দিনভর বৃষ্টি চললেও বুধবার থেকে বৃষ্টি কমে গিয়ে আকাশ উজ্জ্বল হবে। তবে আরও একটি নিম্নচাপের আশঙ্কাও তৈরি হয়েছে ইতিমধ্যে।