নিজস্ব সংবাদদাতা: ২৪ঘন্টায় পারদ চড়েছে ১ডিগ্রীর ওপর। শুক্রবার মধ্য রাতে সেক্রেডহার্ট থেকে ওয়ার্ড মেমোরিয়াল চার্চের বড়দিনের ঘন্টা বেজেছে যখন তখন খড়গপুরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল 9.9 ডিগ্রী সেলসিয়াস। অথচ আগের দিনও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল 8.82 ডিগ্রী।

শনিবার সকাল থেকেই আকাশ মেঘলা, চড়া রোদ নেই। দুপুরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা 25.5 ডিগ্রী সেলসিয়াস ছাড়িয়ে গেছে। ফলে বাড়তি উষ্ণতা পেয়ে খড়গপুর ছুটে গিয়েছে কাঁসাই নদীর তীরে, হিজলী ফরেস্ট কিংবা বি.এন.আর গার্ডেনে।
শনিবার বড়দিনে অর্ধেক খড়গপুরই যেন পিকনিকের আমেজে। যারা বাইরে কোথাও যায়নি তারা পাড়ার মোড়ে মোড়ে মাইক লাগিয়ে পুরো ফেস্টিভ মুডে। ইন্দা, খরিদা, মালঞ্চ, নিমপুরা, ঝাপেটাপুর, কৌশল্যা, তালবাগিচা, রবীন্দ্রপল্লী, প্রেমবাজার সর্বত্রই চলছে পিকনিক। খড়গপুর রেলনগরীর মধ্যে থাকা ৫টি চার্চেই উপচে পড়ছে ভিড়। ক্যাথলিক চার্চ সেক্রেডহার্ট আর সেন্ট আ্যন্টনি। অন্য দিকে প্রোটেসান্ট চার্চগুলির মধ্যে রয়েছে অল সেন্ট, ইউনিয়ন চার্চ আর ওয়ার্ড মেমোরিয়াল চার্চ। সব গুলিতেই ভিড় জমেছে দিনভর।
শহর থেকে যাঁরা বাইরে পিকনিক করতে গিয়েছেন তাঁরা মূলত দুটি ভাগে বিভক্ত। একদল ছুটেছে কাঁসাই নদীর পাড়ে। মোহনপুর ব্রিজের তলা থেকে শুরু ডান দিকে ভিড় জমেছে বালিহাটি বরাবর। অন্যদিকে বাঁ দিকে পিকনিক চলছে বড়কলা ঘাট অবধি। খড়গপুরের দক্ষিণ অংশ হিজলী ফরেস্ট, ইকো পার্ক আর গোপালীর জঙ্গলেও জমজমাট পিকনিক চলেছে জমজমাট। ডি.জে বাজিয়ে নাচা গানার পাশাপাশি চলেছে ব্যাডমিনটন খেলাও। কচিকাঁচাদের সাথে জমেছে বয়স্করাও।
দুপুরের পর পুরো শহর যেন ভিড় করছে বিএনআর গার্ডেনে। উপচে পড়া ভিড়ে নাজেহাল পার্ক কর্তৃপক্ষ। রেকর্ড সংখ্যক টিকিট বিক্রি হয়েছে আজ। বিকাল চারটার মধ্যেই প্রায় হাজার মানুষ পার্কের ভেতরে। বাচ্চারা যেমন বিভিন্ন সরঞ্জামে খেলে বেড়াচ্ছে তেমনই বয়স্করা গল্পগুজবে ব্যস্ত। আড়ালে আবডালে জমে উঠেছে বড়দিনের প্রেমও। সব মিলিয়ে বড়দিনে পুরো বিন্দাস খড়গপুর শহর।