নিজস্ব সংবাদদাতা: নজিরবিহীন ভয়াবহ কুয়াশা ! বেলা ১০টা অবধি ঘন কুয়াশার (dense fog) চাদরে মোড়া ৬ নম্বর হাওড়া-মুম্বাই আর ৬০নম্বর বালেশ্বর-রানীগঞ্জ জাতীয় সড়ক। খড়গপুর শহরকে ঘিরে থাকা এই দুই জাতীয় সড়কে বেলা ১০টা অবধি গাড়ি চলছে ঘন্টায় মাত্র ২০কিলোমিটার গতিবেগে।

এদিকে পশ্চিমীঝঞ্ঝার দাপটে আগামী ৪৮ ঘণ্টা অর্থাৎ রবিবার ও সোমবার খড়গপুর সহ দুই মেদিনীপুরেই বৃষ্টির পূর্বাভাস (Weather forecast)
দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। ওই পূর্বাভাসে বলা হয়েছে আগামী ৪৮ ঘণ্টায় দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় বজ্র বিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির হবে। পশ্চিম মেদিনীপুর ও পূর্ব মেদিনীপুর, নদিয়া, মুর্শিদাবাদে সাধারণ বৃষ্টির সাথে শিলাবৃষ্টিও হতে পারে। রবিবারের মতই সোমবারও সকাল থেকে মেঘলা আকাশের সাথে থাকবে ঘন কুয়াশাও। এমনই সতর্কতা জারি করেছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আজ ও আগামীকাল দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ২৫ জানুয়ারি এই পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাব অনেকটাই কেটে গেলেও কলকাতা, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে কিছুটা বৃষ্টি হবে পারে। ২৬ জানুয়ারি আবহাওয়া (Weather) শুষ্ক থাকবে ও আকাশ পরিষ্কার হয়ে যাবে। এই দিন শুধুমাত্র দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরের উপকূলবর্তী এলাকায় হালকা বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে।
তবে এই মুহূর্তে রাতের তাপমাত্রার (Temperature) উল্লেখযোগ্য কোনও পরিবর্তন হবে না। ২৬ জানুয়ারির পর থেকে বৃষ্টি কমে গেলে তারপর ধীরে ধীরে তাপমাত্রার পরিবর্তন হতে থাকবে। আর উত্তরবঙ্গের (North Bengal) ক্ষেত্রে আগামীকাল পর্যন্ত পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাব একটু বেশি থাকবে। আজ ও আগামীকাল উত্তরবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
চলতি মরশুমে সেভাবে জাঁকিয়ে শীতের দেখাই পাননি রাজ্যবাসী। শীত পড়লেও তা বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। পশ্চিমী ঝঞ্ঝা থেকে শুরু করে ঘূর্ণাবর্ত সব একের পর এক আসার ফলে রাজ্যে উত্তুরে হাওয়া প্রবেশ করতে পারেনি। একাধিকবার প্রবেশের পথে বাধা পেয়েছে উত্তুরে হাওয়া। আর জানুয়ারির শেষ সপ্তাহেও পশ্চিমী ঝঞ্ঝার হাত থেকে রেহাই পেলেন না বঙ্গবাসী। আর তার জেরে আারও বৃষ্টির মুখ দেখতে হচ্ছে তাঁদের।