নিজস্ব সংবাদদাতা: শেষ অবধি উচ্চ আদালত অনুমতি দিয়েছেন গঙ্গাসাগর মেলার। সাগরের পানে তাই লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থী। লক্ষ্য মকর সংক্রান্তির পুণ্যলগ্নের শাহী স্নান। সংক্রান্তির মহালগ্নে সেদিন সাগরে নামবেন লাখো লাখো মানুষ। সেই সময়ে যাতে না কোনও অঘটন ঘটে তার জন্য কোমর বেঁধে তৈরি হয়েছে ভারতীয় উপকূল রক্ষীবাহিনী (Indian Coast Guard)।

উপকূল রক্ষী বাহিনীর পশ্চিমবঙ্গ সদর দপ্তর হলদিয়া সূত্রে জানানো হয়েছে, তাদের কলকাতা কার্যালয় থেকে প্রতিদিন হেলিকপ্টার মোতায়েন থাকছে গঙ্গাসাগরের আকাশে। ওপর থেকেই নজরদারি চালাবেন হেলিকপ্টার গুলি। এছাড়া হলদিয়া থেকে ২টি বিশেষ জাহাজ মোতায়েন থাকবে গঙ্গাসাগরের জলসীমায় যারা জলপথে নজরদারি চালাবে। পাশাপাশি থাকছে উপকূল রক্ষীবাহিনীর দ্রুততম জলযান হিসাবে ২টি হুভারক্র্যাফট। জল এবং স্থলে সমানভাবে গতিশীল উপকূল রক্ষী বাহিনীর এই হুভারক্র্যাফট দুটির কাজ হবে বিপদগ্রস্থ পুণ্যার্থীকে উদ্ধার করে দ্রুত চিকিৎসার জায়গায় পৌঁছে দেওয়া। এছাড়াও গোটা পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য রবার জেমিনি বোট নিয়ে মোতায়েন থাকছে লাইভসেভিং র্যাপিড আ্যকশন বাহিনী।
According to Indian Coast Guard’s Bengal headquarters at Haldia, helicopters are deployed daily from their Kolkata office in the skies over the Sea. Helicopter shots will be monitored from above.Two special ships will be deployed from Haldia to monitor the waterways. Besides, there are two hovercrafts as the fastest watercraft of the Coast Guard. The hovercrafts which are equally mobile on land and water, will be tasked with rescuing endangered benefactors and delivering them quickly to medical facilities. A Livesaving Rapid Action team is also deployed with rubber Gemini boats to deal with the whole situation.
কম্যান্ডেন্ট দীপক সিং জানিয়েছেন, ‘ভারতীয় উপকূলের নিরাপত্তার পাশাপাশি ভারতীয় জলসীমায় নজরদারি ও উদ্ধার কার্য (Search & Rescue) চালানোও উপকূল রক্ষী বাহিনীর অন্যতম কর্তব্য। তারই অংশীদার হিসাবে মেলার কয়েকদিন গঙ্গাসাগরে আমরা নিবিড় নজরদারি চালাবো। পুণ্যার্থীদের পবিত্র স্নানযাত্রাকে নিরাপদ করাই আমাদের অগ্রাধিকার। এই কাজ করা হবে স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেই।’ ইতিমধ্যেই উপকূল রক্ষী বাহিনীর একটি বিশেষ দল পৌঁছে গেছে সাগরে। সেখানে একটি বিশেষ ক্যাম্পও করা হয়েছে উপকূল রক্ষী বাহিনীর পক্ষ থেকে।
উল্লেখ্য ১০ই জানুয়ারি মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা। তারপর থেকে সাগরের পথে ঢল নেমেছে পুণ্যার্থীদের। তবে মূল মেলা শুরু হচ্ছে ১৬ই জানুয়ারি এবং চলবে ২২শে জানুয়ারি অবধি। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার আদালতকে জানিয়েছে কলকাতা থেকে গঙ্গাসাগর পর্যন্ত প্রতিটি এলাকায় টিকাকরণ সম্পূর্ণ হয়েছে। ৭০ শতাংশ মানুষ টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছেন। টিকার দুটি ডোজ সম্পূর্ণ সাগরদ্বীপ এলাকায়ও। প্রতিটি জায়গায় র্যাপিড আন্টিজেন টেস্টের ব্যবস্থা থাকছে। কারও রিপোর্ট পজিটিভি এলেই, তাঁকে আইসোলেট করার ব্যবস্থা করা হবে। এই সব জানার পরই কলকাতা হাইকোর্ট মেলার অনুমতি দিয়েছেন। করোনা নিয়মনীতি মানা হচ্ছে কীনা তা দেখার জন্য একটি কমিটিও তৈরি হয়েছে।