Thursday, December 7, 2023

Midnapore People Protest: ৪৮ ঘন্টা পরেও খোঁজ মেলেনি খালে পড়ে যাওয়া ব্যক্তির! পশ্চিম মেদিনীপুরে শাসকদলের নেতাকে ঘিরে বিক্ষোভ এলাকাবাসীর

- Advertisement -spot_imgspot_img

নিজস্ব সংবাদদাতা: সোমবার এক ভগ্ন সেতু থেকে খালের জলে পড়ে তলিয়ে গেছিলেন এক ব্যক্তি। ৪৮ ঘন্টা পের হয়ে যাওয়ার পরও খোঁজ মেলেনি তাঁর। খাল থেকে ওই ব্যক্তির সাইকেল ও চটি জুতো পাওয়া যাওয়ার পর সব্বাই নিশ্চিত যে খালে পড়েই তলিয়ে গেছেন ওই ব্যক্তি।

বিক্ষোভ ভাঙা সেতু আটকে

তারপর দু’দিন টানা তল্লাশির পরও ব্যক্তির খোঁজ না মেলায় ফুঁসছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সেই ক্ষোভই বিক্ষোভ হয়ে ফেটে পড়ল বুধবার, পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনীর গ্রামে। শাসকদলের নেতার গাড়ি ঘিরে বসে রইলেন গ্রামবাসীরা। চলল শ্লোগান সাউটিং। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নির্বিঘ্ন করায় মুক্ত হন নেতারা।

ঘটনা শালবনী ব্লকের পীড়াকাটা এলাকার ভগবতীচকের। ভগবতীচক লাগোয়া গোদামোল গ্রামের মুখেই কলাইচন্ডী খাল আর খালের ওপর একটি জরাজীর্ণ সেতু। সেতুটির দুই দিকের গার্ডওয়াল বলতে কোনো চিহ্ন নেই। সেতুটির মাঝখান জুড়ে অনেক গুলি গর্ত। আর সেই গর্তের কোথাও কোথাও বেরিয়ে আছে লোহার রড। এলাকাবাসীর বারবার দাবি স্বত্ত্বেও সংস্কার হয়নি সেতুর।

বিক্ষোভ গ্রামের পথ আটকেও

মানুষের অভিযোগ সোমবার সন্ধ্যার সময় ভগ্ন জীর্ণ সেতুর বেরিয়ে থাকা রডে লেগে টাল সামলাতে না পেরে সাইকেল সমেতই কলাইচন্ডীর খালে পড়ে যায় গ্রামেরই বাদম মাহাত নামে ৪৫ বছরের এক ব্যাক্তি। যাকে ৪৮ ঘন্টা পার হলেও সেই ব্যাক্তিকে এখনো উদ্ধার করা যায়নি। যদিও খালের জল থেকেই সাইকেল ও জুতো জোড়া উদ্ধার হয় মঙ্গলবার।

বুধবার দুপুরে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এলাকায় পৌঁছায় শালবনীরই নেতা তথা জেলা পরিষদের ভূমি ও বন দপ্তরের কর্মাধ্যক্ষ নেপাল সিং, শালবনী পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান সহ জনপ্রতিনিধিরা। বুধবার ঘটনাস্থলে পৌঁছালে কয়েকটি গ্রামের মানুষ বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন।

প্রবল বিক্ষোভে আটক নেতা

এরপর নিখোঁজ বাদল মাহাতর গ্রাম গোদামোলে যেতে চাইলে পথ আটকে বসে পড়তে দেখা যায় গ্রামবাসীদের। গ্রামবাসীরা দাবী করতে থাকেন তুলেন দেহ উদ্ধার করা এবং ক্ষতিপূরণ বাবদ পঁচিশ লক্ষ টাকা পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ার পরই গ্রামে যেতে পারবেন নেতারা।

উল্লেখ্য বাদাম মাহাতই পরিবারের একমাত্র উপার্জন শীল ব্যক্তি ছিলেন। স্বামী স্ত্রী সন্তান ও বৃদ্ধ বাবা মা মিলিয়ে পাঁচ জনের সংসার তাঁর ওপরেই নির্ভরশীল ছিল। স্থানীয় বাসিন্দারা নেপাল সিংকে বলতে থাকেন যখন আপনি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ছিলেন তখনও কিছু করেননি আর এখন জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ হওয়ার পরও

খালে নেমে দেহ খুঁজছেন সাধারণ মানুষ

আমাদের মারার জন্য সেতুর বেহাল অবস্থা করে রেখেছেন। মানুষের বিক্ষোভ দেখে আর গ্রামে যাওয়া হয়নি নেতাদের।
পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। তখনও কলাইচন্ডী খালের জলে ভাঙা সেতু থেকে পড়ে গিয়ে নিঁখোজ থাকা ব্যাক্তিকে খোঁজ চালিয়ে যাচ্ছেন গ্রামের মানুষ।

- Advertisement -
Latest news
Related news